মঙ্গলবার, 16 সেপ্টেম্বর 2025
MENU
daily-fulki

ধামরাইয়ে ৩১ লাখ টাকার হেরোইনসহ ৩ মাদক কারবারি আটক


ধামরাই প্রতিনিধি : ধামরাইয়ে পুলিশের পৃথক অভিযানে ৩১ লাখ টাকার মাদকদ্রব্যসহ তিনজন মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তীকালে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে মামলা দায়েরের মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়।


পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারকৃতরা ভারত থেকে হেরোইন এনে ধামরাই থানা এলাকায় খুচরা বিক্রির জন্য এসেছিল। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ধামরাই থানায় সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য দেয় পুলিশ।


গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরবাগডাঙ্গার মালবাগডাঙ্গা এলাকার মো. শরীফ (২৯), টাঙ্গাইলের নাগরপুরের সিংদাইরের মোছা. শাহিদা আক্তার (২৯) ও মিন্টু হোসেন (২৯)।


সংবাদ সম্মেলন জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল (সোমবার) বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধামরাই থানা পুলিশ কালামপুর বাসস্ট্যান্ডে অভিযান পরিচালনা করে মাদক কারবারি মো. শরীফকে আটক করা হয়। এ সময় তার দেহ তল্লাশি করে দুইশো গ্রাম হেরোইন পাওয়া যায়, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ২০ লাখ টাকা।


এছাড়া ধামরাইয়ের ঢুলিভিটা এলাকায় পৃথক অপর এক অভিযান থেকে মাদক কারবারি শাহিদা আক্তার ও মিন্টু হোসেনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের দেহ তল্লাশি করে আরও ১১৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১১ লাখ টাকা। পরবর্তীকালে আটককৃতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয় বলেও জানিয়েছে পুলিশ।


এ বিষয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিশেষ অভিযান উপলক্ষে একাধিক টিম বর্তমানে মাঠে কাজ করছে। গতকাল এসআই রহমান কালামপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চেকপোস্ট ডিউটি পালনকালে ওই এলাকায় মাদক বিক্রি করতে আসা মো. শরিফ হোসেনকে ২০০ গ্রাম মাদকসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া টাঙ্গাইলের নাগরপুর থেকে হেরোইন বিক্রি করতে আসা অপর দুইজনকে ১১০ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করা হয়। সবমিলিয়ে এই ৩১০ গ্রাম হেরোইনের মূল্য অন্তত ৩১ লাখ টাকা।


তিনি আরও বলেন, গত ১২ ঘণ্টায় আরও তিনটি মাদক মামলা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটিতে ৬০ পিস ইয়াবা, অপরটিতে ৩০ পিস ও আরেকটিতে ২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ধরনের অভিযান আরও চলমান থাকবে।


তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যাদের ধরা হয়েছে, তারা সবাই মাদক কারবারি। এর মধ্যে বড় যেসব মাদক ব্যবসায়ীকে ধরা হয়েছে, তারা ভারত থেকে হেরোইন এনে ধামরাই থানা এলাকায় খুচরা বিক্রির জন্য নিয়ে আসে। আমরা তাদের গ্রেপ্তারে সক্ষম হয়েছি।


 

সর্বাধিক পঠিত