স্টাফ রিপোর্টার : যাচাই-বাছাই করা এক হাজার ৯০টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসাকে দ্রুত এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়েছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব রেজাউল হক বলেন, ১৯৭৮ সালের অর্ডিন্যান্স ও ১৯৮৪ সালে মাদ্রাসা বোর্ডের নিবন্ধনের মাধ্যমে স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলো প্রাথমিক শিক্ষার সমতুল্য শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। একসময় শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি ও ফিডিং সুবিধা পেলেও ২০২২ সাল থেকে তা বন্ধ হয়ে গেছে।
অভিযোগ করে তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালে স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদের সামান্য ভাতা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ হলেও এসব মাদ্রাসা এখনো বঞ্চিত। ফলে শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। গত জানুয়ারিতে মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব ঘোষণা দিয়েছিলেন ধাপে ধাপে সব এবতেদায়ী মাদ্রাসাকে জাতীয়করণ করা হবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই মাসে কেবল অনুদানপ্রাপ্ত ১৫১৯টি মাদ্রাসার এমপিওভুক্তির আবেদন গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে ১০৯০টি প্রতিষ্ঠানের যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হলেও এখনও গেজেট প্রকাশ হয়নি।
রেজাউল হক বলেন, দীর্ঘ আন্দোলনের পরও দাবিগুলো উপেক্ষিত হচ্ছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে অবস্থান কর্মসূচি চলছে। এর মধ্যে শিক্ষক গ্রেপ্তারসহ হয়রানির ঘটনা ঘটেছে, যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশ তিনটি দাবি তুলে ধরে।
দাবি তিনটি হচ্ছে— বাছাই করা এক হাজার ৯০টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার এমপিও তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে হবে; অনুদানবিহীন সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে এমপিওভুক্ত করার জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে এবং অনুদানপ্রাপ্ত মাদ্রাসার পাশাপাশি অনুদানবিহীন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদেরও দ্রুত উপবৃত্তি চালু করতে হবে।
কর্মসূচি ঘোষণা করে মহাসচিব রেজাউল বলেন, আগামী ১২ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সারাদেশের শিক্ষক অংশগ্রহণে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। ওই কর্মসূচি থেকে পরবর্তী আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আহমদ আলীসহ অন্যরা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।