স্টাফ রিপোর্টার : অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা আসছে ডিসেম্বরে আয়োজন করা হবে। স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সরকারি-বেসরকারি সব স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পাবে। পাঁচটি বিষয়ে চারটি পত্রে মোট ৪০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে তাদের।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার মঙ্গলবার বলেন, জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নিতে নীতিমালা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বোর্ডগুলো পক্ষ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের নীতিমালা অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
১০৯০ স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসাকে দ্রুত এমপিওভুক্ত করার দাবি
তিনি বলেন, বছরে শেষাংশে ডিসেম্বর মাসে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা হবে। তবে এখনও চূড়ান্ত দিন-তারিখ নির্ধারণ হয়নি। আশা করছি দ্রুতই দিন-তারিখ নির্ধারণ হবে।
পরীক্ষা পদ্ধতি
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রকাশিত জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার নীতিমালায় বলা হয়েছে, অনুমোদিত স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক স্কুলে অধ্যয়নরত অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।
অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ভিত্তিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে বৃত্তি পরীক্ষা হবে।
বাংলা, ইংরেজি, গণিত বিষয়ে আলাদা আলাদা পরীক্ষা হলেও বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে একসঙ্গে।
পরীক্ষার মোট নম্বর ৪০০। বাংলায় ১০০, ইংরেজিতে ১০০, গণিতে ১০০, বিজ্ঞানে ৫০ এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
প্রতিটি পরীক্ষার সময় ৩ ঘণ্টা। এ পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ‘ট্যালেন্টপুল’ ও ‘সাধারণ’ কোটায় শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়া হবে।
ফি ৬০০ টাকা
বৃত্তি পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হয়েছে মোট ৬০০ টাকা। নীতিমালায় পরীক্ষার্থী প্রতি বোর্ড ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা আর কেন্দ্র ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০ টাকা।
প্রশ্ন প্রণয়ন ও ফল প্রক্রিয়া
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড এ পরীক্ষা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মুদ্রণ করে জেলা কমিটির কাছে পাঠাবে। বোর্ড পরীক্ষা শেষে ফল প্রস্তুত করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাবে।
ঢাকা বোর্ডসহ অন্যান্য শিক্ষা বোর্ড নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ফরম পূরণ করবে। অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডগুলো ফল প্রস্তুত করতে ঢাকা বোর্ডকে সহায়তা করবে।
উপজেলা সদরে পরীক্ষা কেন্দ্র
নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রতিটি উপজেলা সদরে বৃত্তি পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহারে সুবিধাজনক বিদ্যালয়কে প্রাধান্য দিতে হবে।
পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও কেন্দ্রের অবকাঠামোর সুবিধা বিবেচনায় প্রয়োজনে একাধিক কেন্দ্র স্থাপন করা যাবে।
এদিকে, জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার নীতিমালায় কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার।
তিনি বলেন, ‘নীতিমালা নিয়ে আমাদের কিছু অবজার্ভেশন আছে। সে দিকগুলোতে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। আমার সভা করে এ বিষয়গুলো শিগগিরই চূড়ান্ত করব।’