জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) নির্বাচন ২০২৫-এর ভোট গণনার কাজে দায়িত্বরত অবস্থায় গত ১২ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করা চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌসের স্মরণে মানববন্ধন করেছেন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীবৃন্দ।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনের সড়কে এই মানববন্ধন করেন তাঁরা।
মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন। মানববন্ধনে চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ধীমান সরকারের সঞ্চালনায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরা বক্তব্য দেন।
মানববন্ধনে নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মানস চৌধুরী বলেন, ‘এবারের জাকসু নির্বাচনটা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলোমেলো ব্যবস্থাপনার একটি নিকৃষ্ট দলিল হয়ে থাকল। আর সেটা হলো জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। আমি জান্নাতুল ফেরদৌসের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি।’
চারুকলা বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক শামীম রেজা বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার কারণে যে একজনের মৃত্যু হলো, এর দায় কে নেবে? ছোট একটা নির্বাচনে যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে বড় নির্বাচনে কী অবস্থা হবে?’
শামীম রেজা আরও বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, প্রশাসন এই ঘটনায় কিছু একটা করবে। কিন্তু তাদের নীরব থাকা আমাদের মর্মাহত করেছে। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, তারা এটাকে একটা স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে ধরে নিয়েছে। কিন্তু সে যে দায়িত্বশীল আচরণের পরিচয় দিয়ে মৃত্যুবরণ করল, এটা সে রকমভাবে কেউ বলছে না। আমরা আশা করব, প্রশাসন আমাদের দাবিগুলো মেনে নিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসের স্মরণে কিছু একটা করবে।’
মানববন্ধনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে দুটি দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেন চারুকলা বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ। তাদের দাবি দুটি হলো—
১. বিশ্ববিদ্যালয়ের জাকসু নির্বাচন ২০২৫-এর কাজে কর্মরত অবস্থায় সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত্যু হয়েছে এবং এর পূর্বাপর ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের কাজে চরম অব্যবস্থাপনার একাধিক নজিরের প্রেক্ষাপটেই এই মৃত্যু। তাই মরহুমা শিক্ষকের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সুবাদে বিধি মোতাবেক তাঁর পরিবারকে সমুদয় অর্থ প্রাপ্তি ও ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
২. সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌসের স্মৃতির উদ্দেশ্যে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনসংলগ্ন রাস্তাটির নামকরণ কিংবা তাঁর নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবগঠিত জাকসু ভবনের নামকরণ করা।