স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর অভিজাত এলাকায় ডিজে পার্টি ও গোপন আসরে সরবরাহ করা পার্টি ড্রাগ এমডিএমএ চক্রের মূলহোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে রেকর্ড পরিমাণ এমডিএমএ ট্যাবলেট, কুশ, গাঁজা, কিটামিনসহ নগদ টাকা ও বিভিন্ন সরঞ্জাম।
এছাড়া ৬টি মোবাইল ফোন, ১টি ল্যাপটপ ও ৭ লাখ ১১ হাজার টাকা নগদ জব্দ করা হয়েছে।
ডিএনসি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় উচ্চবিত্ত পরিবারের কয়েকজন শিক্ষিত তরুণ যুক্তরাজ্য থেকে পার্সেলযোগে আধুনিক মাদক এনে ঢাকার বিভিন্ন পার্টি ও ক্লাবে সরবরাহ করছে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে গত ১৪ সেপ্টেম্বর পল্টনের ডাক ভবনের বৈদেশিক ডাক শাখা থেকে একটি পার্সেল আটক করা হয়। বিদেশি চকলেটের নিচে লুকানো অবস্থায় পাওয়া যায় এমডিএমএ ট্যাবলেট।
পরে জব্দকৃত কাগজপত্র ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে মূলহোতা মো. জুবায়ের (২৮)-কে ঢাকা উদ্যান এলাকা থেকে আটক করা হয়। জুবায়েরের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তার সহযোগী জি এম প্রথিত সামস (২৫), আসিফ মাহবুব চৌধুরী (২৭), অপূর্ব রায় (২৫) ও সৈয়দ শাইয়ান আহমেদ (২৪)-কে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিএনসি জানায়, আসামিরা হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রামসহ এনক্রিপ্টেড অ্যাপ ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখত। তারা মূলত অভিজাত সোসাইটি ও ডিজে পার্টিতে এসব মাদক সরবরাহ করত।
এমডিএমএ বা এক্সটাসি শরীরে অল্প সময়ের জন্য আনন্দ, আত্মবিশ্বাস ও উত্তেজনা সৃষ্টি করলেও এর ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এটি হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ বৃদ্ধি, খিঁচুনি, কিডনি-লিভারের ক্ষতি, মানসিক অবসাদ এমনকি মৃত্যু ঘটাতে পারে।
ডিএনসি জানায়, আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের নতুন কৌশল মোকাবিলায় কুরিয়ার সার্ভিস ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে নিয়মিত নজরদারি চালানো হবে। গ্রেফতার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও কয়েকজনের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে, তদন্ত শেষে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ডিএনসি বলেছে, তরুণ সমাজকে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষায় এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।