আশুলিয়া প্রতিনিধি : আশুলিয়ায় সন্তানসহ একই পরিবারের তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে স্বামীর লাশ সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায়, শিশু কন্যা ও তার স্ত্রীর লাশ বিছানা থেকে উদ্ধার করা হয়।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টারদিকে আশুলিয়া থানা এলাকার ইয়ারপুর ইউনিয়নের নরসিংহপুরের হা-মীম গার্মেন্টের তিন নম্বর গেট সংলগ্ন এলাকার আবুল হোসেনের টিনশেড বাড়ির একটি কক্ষ থেকে তাদের লাশগুলো উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
নিহতরা হলেন-বগুড়া জেলার ধুনট থানার নলডাঙা গ্রামের রুবেল আহমেদ (৩৫), তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (৩০) ও তাদের ৫ বছরের কন্যা সন্তান জামিলা। তারা বগুড়ার বড়িতলি এলাকার বাসিন্দা বলে জানা যায়।
পাশের ভাড়াটিয়ারা জানান, রুবেল রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। স্ত্রী হা-মীম গ্রুপের সোয়েটার কারখানায় চাকরি করতেন। শনিবার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তারা। রোববার সারাদিন তাদের দরজা বন্ধ থাকে। বিকালেও দরজা না খোলায় তাদের সন্দেহ হয়। এ সময় লোকজন পুলিশকে খবর দেন। সংবাদ পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙে তাদের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় রুবেল মিয়ার লাশ ঘরে ঝুলতে দেখা যায়। সোনিয়া ও মেয়ে জমিলার লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকে।
সন্তানের মুখ থেকে বিষের গন্ধ পাওয়া গেছে ও স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করে বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে স্বামী রুবেল কী কারণে স্ত্রী সন্তানকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছেন এমন প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেশী রুহুল আমিন জানান, রুবেলের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার স্থানীয় একটি গার্মেন্টের কর্মী ছিলেন। তারা গ্রামের বাড়িতে অনেক টাকা ঋণগ্রস্ত ছিলেন। প্রায় সময়ে তাদে পাওনাদারদের চাপে থাকতে হতো। তাদের কোন নিকট আত্মীয় খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আশুলিয়া থানার এসআই মজিবুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে ওই এলাকার একটি টিনশেড বাড়ির কক্ষ থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে একজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় বাকি দুইজনের লাশ বিছানা থেকে উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্বামী তার স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন। তাদের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দ্দী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।