স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘জনগণ সত্যের পক্ষে রায় দিলে ৫ বছরের মধ্যেই দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করাসহ ইতিবাচক পরিবর্তন করা সম্ভব। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাফরুল পশ্চিম থানা আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
এছাড়া, দেশে ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে; আর এ আন্দোলনের চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন দলটির আমির।
ঢাকা মহানগর উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মুসার সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি লস্কর মোহাম্মদ তসলিম ও কর্মপরিষদ সদস্য শাহ আলম তুহিন।
জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা বৈষম্যহীন, দুর্নীতি, দুঃশাসন ও অপরাধমুক্ত এক নতুন গড়ার জন্য দীর্ঘ পরিসরে আন্দোলন করে যাচ্ছি। সমাজে শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা আমাদের আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সব নাগরিক যাতে নিজেদের সাংবিধানিক অধিকার লাভ করতে পারে আমরা সে ধরনের একটি ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক সমাজ কায়েম করতে চাই যে সমাজের মানুষের সব ধরনের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে। যে সমাজে ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বিভাজন থাকবে না। সর্বোপরি আমাদের লক্ষ্য দেশে সুশিক্ষার সম্প্রসারণ। মূলত, সুশিক্ষাই পারে মানুষকে প্রকৃত মানুষে পরিণত করতে। তাই চলমান শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতিকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি সুশিক্ষিত জাতি গঠনে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমাদের জন্য অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু শঙ্কাটাও পুরোপুরি কেটে যায়নি। তাই আমাদেরকে খুবই সন্তর্পণে অগ্রসর হতে হবে।’
এছাড়া, রাজনীতিতে মূল্যবোধের চর্চার প্রসঙ্গ তুলে জামায়াত আমির বলেন, ‘আগামীতে যারা ক্ষমতায় আসবেন বা যেতে চান, তাদেরকে বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ ও আল্লাহর কাছে জবাবদিহির অনুভূতি নিয়ে সব কাজ সম্পাদন করতে হবে। কারণ, সবাইকে ফাঁকি দেয়া সম্ভব হলেও আল্লাহকে ফাঁকি দেয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আমরা এমন এক ইনসাফপূর্ণ নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, নারী ও পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে সব প্রকার ভয় ও শঙ্কামুক্ত থাকবেন।’