মৌলভীবাজার সংবাদদাতা : বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম বলেছেন, ‘সারা জীবন সংবাদপত্রে কাজ করেও শেষ জীবনে নিজের প্রতিষ্ঠান থেকে অনেককে শূন্য হাতে ফিরতে হয়। কারো কারো বেলায় দেখা যায়, কোনো নিয়োগপত্রই নেই এবং কেউ কেউ বিনা বেতনে কাজ করে জীবন পার করে দেন। দেশে এমন পরিস্থিতি থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের আর্থিক সুরক্ষা খুব দরকার।’
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার সার্কিট হাউস মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমে অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধ এবং বস্তুনিষ্ঠ পরিবেশন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ কে এম আব্দুল হাকিম বলেন, ‘সাংবাদিকতার পেশাকে অবশ্যই দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে স্থান দিতে হবে। গণমাধ্যমকে অবশ্যই নিজস্ব মতামত প্রচার-প্রকাশকে বর্জন করতে হবে। সাংবাদিকদের মর্যাদা নিশ্চিত করা না গেলে গণমাধ্যমকে কার্যত রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভে পরিণত করা যাবে না।’
দেশের সাংবাদিক সমাজে বিভাজনের বিষয়ে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের যেখানেই যাচ্ছি, সেখানেই একাধিক প্রেস ক্লাব দেখছি।
সিলেটে আটটি প্রেস ক্লাব রয়েছে। যশোরে ১৮টি প্রেস ক্লাবের তথ্য পেয়েছি। সুনামগঞ্জে সাতটি প্রেস ক্লাব। মৌলভীবাজারে ব্যতিক্রম।
অথচ প্রেস ক্লাব হলো একটি সামাজিক সংগঠন, যেখানে সাংবাদিকরা মিলিত হবেন, মতবিনিময় করবেন, সহমর্মিতা ও সৌহার্দ্য গড়ে তুলবেন। প্রেস ক্লাবের সদস্য ছাড়াও সাংবাদিকতা করতে বাধা নেই। অতিরিক্ত বিভাজন পেশাদারিকে আঘাত করে। সাংবাদিকদের উচিত পেশার প্রতি মনোযোগী হওয়া এবং নিজ দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জন করা।’
কর্মশালায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোসা. শাহিনা আক্তার সভাপতিত্ব করেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন তথ্য কার্যালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আবুল খায়ের।
কর্মশালায় প্রেস কাউন্সিলের সচিব (উপসচিব) আবদুস সবুর রিসোর্স পারসন হিসেবে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারে প্রেস কাউন্সিল প্রণীত আচরণবিধি প্রতিপালনের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। এতে ৪০ জন সাংবাদিক অংশ নেন।