জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা শুরু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সদস্য সদস্যসচিব সিনেট কক্ষে প্রবেশ করেন। মারা যাওয়া শিক্ষকের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। পরে ৫টা ১৫ মিনিটে জাকসুর চূড়ান্ত ফল ঘোষণা শুরু হয়। ফল ঘোষণা অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব ও প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম।
প্রায় ৩৩ বছর পর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে অনুষ্ঠিত হয় জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ভোটের আগের দিন রাতে বাম সংগঠন ও ছাত্রদল প্যানেলের প্রার্থীরা ভোট গণনার মেশিন সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের মালিক জামায়াত নেতা- এমন অভিযোগ তোলেন। নির্বাচন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তখন মেশিনের পরিবর্তে হাতে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত নেয়। ভোটের দিন বিকেল সাড়ে তিনটায় ছাত্রদল নির্বাচন বর্জন করে। পরে সন্ধ্যা সাতটায় বামসমর্থিত আরও চারটি প্যানেল ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়। আটটি প্যানেলের মধ্যে পাঁচটির ৬৮ জন প্রার্থী ভোট বর্জন করলেও বাকি তিন প্যানেলের ১১১ জন প্রার্থী নির্বাচনে নানা অভিযোগের মধ্যেও শেষ পর্যন্ত ভোটে রয়েছেন।
ছাত্রসংগঠনগুলোর পাল্টাপাল্টি অভিযোগের প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিভিন্ন হল থেকে ব্যালট বাক্স সিনেট ভবনে নেওয়া হয়। সব প্রস্তুতি শেষে রাত ১০টার পর শুরু হয় গণনা। দীর্ঘ প্রায় ৪০ ঘণ্টা ধরে ভোট গণনা চলে।
জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ৬ হাজার ১৫ জন এবং ছাত্রী ভোটার ৫ হাজার ৭২৮ জন। ভোট পড়েছে ৮ হাজার ৩টি। এটি মোট ভোটের প্রায় ৬৮ শতাংশ। জাকসুর ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৮ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন লড়ছেন। এছাড়া হল সংসদের লড়ছেন ৪৪৫ প্রার্থী।