বৃহস্পতিবার, 9 অক্টোবর 2025
MENU
daily-fulki

জাকসু নির্বাচনে অব্যবস্থাপনার অভিযোগে সরে দাঁড়ালেন বিএনপিপন্থী ৩ শিক্ষক

জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন তিন শিক্ষক। তারা জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সদস্য।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার আগেই তারা বিভিন্ন কেন্দ্র ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে তারা নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নাহরীন ইসলাম খান, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক শামীমা সুলতানা।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক নাহরীন ইসলাম খান বলেন, ‘প্রশাসন শুরু থেকেই দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করছে। নানা অনিয়ম, কারসাজি করছে। এরকম একটা নির্বাচনের দায়ভার আমাদের নেওয়া উচিত না। প্রতিবাদের জায়গা থেকে আমরা দায়িত্বশীল শিক্ষকরা এই নির্বাচনকে বর্জন করলাম।’

এর আগে নির্বাচনে কারচুপিসহ নানা অভিযোগ তুলে জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের প্রার্থীরা। বিকেল পৌনে ৪টায় মওলানা ভাসানী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ছাত্রদল মনোনীত জিএস পদপ্রার্থী তানজিলা হোসেন বৈশাখী। তার সঙ্গে ছাত্রদল মনোনীত অন্য প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় তিনি বলেন, ‘ছাত্রশিবির সাংবাদিকদের কার্ড নিয়ে রেসট্রিকটেড জোনেও প্রবেশ করছে, যেখানে অন্য প্রার্থীদের যাওয়া নিষেধ। বিশেষ করে আমাদের কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এক্ষেত্রে প্রশাসন নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। অভিযোগ এসেছে,  শিবির নেত্রী মেঘলার কারচুপির জন্য একটি হলে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়েছে । একটি গণমাধ্যমে এই সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। অন্য প্রার্থীরাও এই অভিযোগ করেছেন। কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দাবি করেছিলাম, একটি ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনের। কিন্তু ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে- নির্বাচন মনিটর করার জন্য জামায়াত নেতার কোম্পানিকে সরাসরি সম্প্রচারসহ সিসিটিভির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সবগুলো ভোটকেন্দ্রগুলোতে শিবিরকে নির্বাচন মনিটর করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আমাদের নির্বাচন ব্যাহত করতে শিবিরি-প্রশাসন মিলে নির্বাচন ইঞ্জিনিয়ারিং করছে। এই নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের রায়ের সম্পূর্ণ প্রতিফলন ঘটছে না। এসবের প্রতিবাদে আমরা নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হচ্ছি।’

 

সর্বাধিক পঠিত