জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভোটারদের আঙুলে কালি ব্যবহার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী আবু তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম অভিযোগ করেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল, রফিক জব্বার হল, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল ও কাজী নজরুল ইসলাম হলে ভোটারদের আঙুলে কালি দেওয়া হচ্ছে না।
ভোটে জালিয়াতির আশঙ্কা নিয়ে সিয়াম বলেন, ‘যদি আইডেনটিফিকেশন না থাকে, পরে জালিয়াতির আশঙ্কা রয়েছে। যারা ইতিমধ্যে ভোট দিয়েছে, তারা চাইলে আবারও ভোট দিতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন। তবে ভোট শুরু হওয়ার আগেই এই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। এখনো দেখা যাচ্ছে, সেটা করা হয়নি।’
সিয়াম মনে করেন, ভোটারদের আঙুলে অমোচনীয় কালি ব্যবহার না করা হলে নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ ব্যাহত হতে পারে। তাঁর অভিযোগ, এ ক্ষেত্রে প্রশাসন ‘অদক্ষতা ও অবহেলার’ পরিচয় দিয়েছে।
এদিন একই অভিযোগ করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী আল আমিন। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের হলে ভোট দেওয়ার সময় কোন ভোটারের আঙুলের ওপর মার্কার দিয়ে দাগ দেওয়া হচ্ছে না। শুধু স্বাক্ষর নিয়ে ব্যালট পেপার দিচ্ছে।’
এ বিষয়ে হলের পোলিং কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার মন্ডল সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে তাদের কারও কাছে মার্কার সরবরাহ করা হয়নি।
দেখা গেছে, ডাকসুর মতো এখানে হাতের আঙুলে দাগ দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়নি। দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিসিটিভির মাধ্যমে ভোটের নজরদারি করা হচ্ছে।
তবে ২১ নম্বর ছাত্র হলে (সাবেক শেখ রাসেল হল) হাতে মার্কারের দাগ দিয়ে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ৭৩৫ জন। বেলা ১০টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৯২টি।
এই কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোসাব্বের হোসেন বলেন, কেন্দ্রে মার্কার ব্যবহারের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা নেই। শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মার্কার ব্যবহার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম বলেন, সব হলেই ভোটারদের ভোট দেওয়া শেষে আঙুলে কালি দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে অমোচনীয় কালি দেওয়ার জন্য দুটি করে কলম দেওয়া হয়েছে। সব হলেই দেওয়ার কথা। ওই হলে কেন দেওয়া হচ্ছে না তিনি খোঁজ নিচ্ছেন বলে জানান।