বৃহস্পতিবার, 9 অক্টোবর 2025
MENU
daily-fulki

নেপালে এখনও অবরুদ্ধ, আজ ফিরতে পারবে তো বাংলাদেশ দল?

স্টাফ রিপোর্টার : নেপালে এখনও কার্যত অবরুদ্ধই হয়ে আছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। অনিশ্চয়তা কাটেনি। সূচি মোতাবেক আজ দেশে ফেরার কথা ছিল জামাল ভূঁইয়ার দলের। সবাই এখনও আছেন দেশে ফেরার অপেক্ষায়। কিন্তু সে অপেক্ষা কখন শেষ হবে, তা কেউ জানে না।


শেষ কিছু দিনে বেশ উত্তাল সময় কাটিয়েছে নেপাল, এখনও তার রেশ শেষ হয়নি। বেশ কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল দেশটিতে। তার প্রতিবাদ তো আছেই, সরকারের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে গত সোমবার বিক্ষোভে ফেটে পড়ে নেপালের লাখো মানুষ।

রাস্তায় জনতার ঢল ঠেকাতে সরকার খড়গহস্ত হয়। আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি ছোঁড়া হয়, যাতে প্রাণ হারান ১৯ জন নাগরিক। হতাহতের সংখ্যাও তিন অঙ্ক ছাড়িয়ে যায়। তবে এরপরও বিক্ষোভ দমে যায়নি, বরং ফুঁসে ওঠে আরও। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করেন। বন্ধ করে দেওয়া হয় দেশটির ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরও।

মঙ্গলবার সেখানে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচটি খেলার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের। তবে পরিস্থিতির কারণে তা সোমবারই বাতিল হয়। এরপর গতকাল ঢাকায় ফিরতে চেয়েছিল দল, তবে পথিমধ্যে বিক্ষোভকারীদের ভিড়ে বিমানবন্দরে যাওয়া হয়নি দলের। গেলে অবশ্য অসুবিধাই হতো দলের, তার আগেই যে বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যায়!

যার ফলে এখন বাংলাদেশ দলের সময় কাটছে হোটেলে। দলের সার্বিক পরিস্থিতি কী, তা জানতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ দলের সঙ্গে কথা বলেছেন। সঙ্গে তাদেরকে দ্রুততম সময়ে দেশে ফেরানোর আশ্বাসও দিয়েছেন।

গত দুই দিন যেমন কেটেছে নেপালে, তার তুলনায় আজ উত্তেজনা অনেকটাই স্তিমিত হয়ে এসেছে। তবে এরপরও বাংলাদেশ ফিরতে পারছে না, কারণ বিমানবন্দর তো বন্ধ! সে কারণে এখন বিমানবন্দর খোলার দিকে তাকিয়ে আছে গোটা দল। আজ দুপুরে খোলার একটা সম্ভাবনা আছে। এরপর কার্যক্রম শুরু হলেই কেবল আসা সম্ভব। এদিকে আজকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত কারফিউ বাড়ানো হয়েছে নেপালে, ফলে ধোঁয়াশা একটা রয়ে গেছে দলের ফেরা নিয়ে।

এদিকে অবশ্য দলকে দ্রুততম সময়ে দেশে ফেরানোর চেষ্টা থেমে নেই। দলের নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্ন প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সার্বক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দলকে ফেরানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। এ বিষয়ে নেপালের বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে সরকার।
 

সর্বাধিক পঠিত