বৃহস্পতিবার, 9 অক্টোবর 2025
MENU
daily-fulki

সাভারে গেস্ট হাউজ ও আবাসিক হোটেলের আড়ালে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা, প্রশাসন নীরব

স্টাফ রিপোর্টার : সাভারের বিভিন্ন এলাকায় গেস্ট হাউজ ও আবাসিক হোটেলের আড়ালে একটি কুচক্রী মহল নির্বিঘ্নে অবৈধ দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এ চক্রটি অবৈধ এবং অনৈতিক দেহ ব্যবসায় খদ্দের জোগাতে অফ লাইন-অন লাইনে নজরকাড়া বিজ্ঞাপন দিচ্ছে।


গুগোলে সার্চ দিলে দেখা যাবে, সাভারে দুবাই গেস্টে হাউজের বিজ্ঞাপন। দুবাই গেস্ট হাউজের খদ্দেরদের আকর্ষণ করতে রয়েছে অসংখ্য রোমান্টিক টিকটক ভিডিও। এসি-নন এসি’র ভাড়া এবং চাহিদা মতো সার্ভিস। এ সব বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে কৌতুহলবশত অনেকেই পা দিচ্ছে অন্ধকার জগতে। সাভারে এখন দেহ ব্যবসার মতো অনৈতিক ও অসামাজিক বিষয়টি স্বাভাবিক ব্যবসা হয়ে উঠছে। এ ঘটনায় সাভারে মাদক ব্যবসা, ইভটিজিং, ধর্ষণের মতো ঘটনা বাড়ছে। এসবই হচ্ছে সাভারের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়, প্রশাসনের নাকের ডগায়।


সাভার বাসস্ট্যান্ড, থানা রোড, গেন্ডা, উলাইল, ব্যাংক টাউন, ফুলবাড়িয়া, হেমায়েতপুর, আমিনবাজার, শিমুলতলা, রেডিও কলোনী, নবীনগর, পল্লীবিদ্যুৎ, বাইপাইল, ইউনিক, জামগড়া, নরসিংহপুর, ডিইপিজড, বলিভদ্র, শ্রীপুর, জিরানীসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক-মহাসড়ক কিংবা ওভারব্রীজ দিয়ে হাঁটতে গেলে চোখে পড়বে ছড়িয়ে-ছিটে পড়ে থাকা নানা রংয়ের দৃষ্টি নন্দন ভিজিটিং কার্ড। আবাসিক হোটেল কিংবা গেস্ট হাউজের নাম ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে এসব ভিজিটিং কার্ডে। এছাড়াও এ সকল রঙ্গিণ কার্ডে রয়েছে হরেক রকম ভাইদের নাম ও সেল নাম্বার। দিন দিন যত্রতত্র পড়ে থাকা এই ভিজিটিং কার্ড নিয়ে মানুষের রহস্য বাড়ছে। অনেকেই কৌতুহলবশত কার্ডের নাম্বারে ফোন দিয়ে নিজের অজান্তেই জড়িয়ে পড়ছে পথভ্রষ্ট নারীর আবহে, নিষিদ্ধ অন্ধকার জগতে।


সড়কের পাশে ফুটপাত কিংবা ফুটওভার ব্রিজ, পাড়া-মহল্লার আঞ্চলিক সড়ক কিংবা অলিগলির রাস্তায় এ সকল ভিজিটিং কার্ডে ছেয়ে গেছে। কখনো, কারা এই কার্ড ছিটিয়ে দিচ্ছে এ সব নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।


শুধু সড়ক কিংবা ফুটপাত কিংবা ওভারব্রিজই নয়, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের সামনেও এসব ভিজিটিং কার্ড ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও এ সব কার্ড হাতে নিয়ে কৌতুলবশত কার্ডের নাম্বারে ফোন দিচ্ছে।


জনসবহুল এলাকায় পড়ে থাকা এসব কার্ডে লেখা রয়েছে রাফি ভাই, হিমু ভাই, রেন্টু ভাই, চান ভাই, শিপন ভাই, রিপন ভাই, মামুন ভাই, আকাশ ভাই, বাদল ভাই, সূর্য ভাই, রাশেদ ভাই, সামি ভাই, জসিম ভাই, জুয়েল ভাইসহ বিভিন্ন ভাইয়ের নাম ও নাম্বার। এছাড়া কিছু কিছু ভিজিটিং কার্ডে দুবাই গেস্ট হাউজ, হোটেল হিমালয় আবাসিক, পদ্মা গেস্ট হাউজসহ বিভিন্ন নামের গেস্ট হাউজ ও আবাসিক হোটেলের নাম লেখা রয়েছে।


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যৌন কর্মী সরবরাহকারী কিছু দালালচক্র এসব ভিজিটিং কার্ড রাস্তা-ঘাটে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দিচ্ছে। মূলত দ্রুত যৌন ব্যবসার প্রচারের লক্ষ্যেই এমন কৌশল বেছে নিয়েছে চক্রটি। এরা রাতের আধারে অথবা ভোরের নিরিবিলি সময়ে ভিজিটিং কার্ড সড়কে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রেখে যায়। যাতে করে খুব সহজেই সকলের নজরে আসতে পারে। রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব ভিজিটিং কার্ডের নাম ও নাম্বার ব্যবহারকারীরা মূলত কয়েক ধাপে নারী যৌনকর্মী সরবরাহ করে থাকে।


এ সব কার্ডে উল্লেখিত নাম্বারে ফোন করলে প্রথমত ভিজিটরকে তাদের নিজস্ব আবাসিক হোটেল বা গেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে যায়। পরে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে যৌন কর্মী সরবরাহ করে। এছাড়াও যৌনকর্মীকে ভিজিটরের বাসার ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়াসহ যৌনকর্মীর বাসা কিংবা ফ্ল্যাটে ভিজিটরকে পৌঁছে দেয়ার কাজটি করে থাকেন তারা। মূলত এরা যৌন কর্মীর দালাল হিসবে কাজ করে।


বাইপাইলের আশপাশের বাসিন্দারা জানান, আশুলিয়া থানা থেকে আধা থেকে দুই কিলোমিটারের মধ্যেই অন্তত ৫/৬টি আবাসিক হোটেল ও গেস্ট হাউজ রয়েছে। অথচ প্রতিনিয়ত এসব গেস্ট হাউজে চলছে অসামাজিক কার্যক্রম। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।


এছাড়াও আশুলিয়ার পলাশবাড়ি এলাকায় মুন গেস্ট হাউজ থেকে গত ৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২ জন নারীসহ ৮ জনকে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে। কিন্তু একদিন পরই আবার মুন গেস্ট হাউজটি চালু করা হয়েছে। এছাড়া বাইপাইল ব্রীজ সংলগ্ন পদ্মা গেস্ট হাউজে ২০২৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৬ জন নারী-পুরুষকে আটক করে। পরে পুলিশ গেস্ট হাউজের নামে দেহ ব্যবসার আখড়া বন্ধ করে দিতে বলে। কিন্তু এরপরও রহস্যজনক কারণে পদ্মা গেস্ট হাউজটি চালু রয়েছে। বাইপাইল মোড়ে করিম সুপার মার্কেটের ৪র্থ তলায় ইউনিক আবাসিক হোটেল, বগাবাড়ির আমেরিকা প্লাজার দক্ষিণ পাশে ব্রাদার্স আবাসিক হোটেল, পল্লীবিদ্যুৎ বাসস্ট্যান্ডে গোল্ডেন ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক হোটেল, নবী টেক্সটাইলের কাছে জিয়া গেস্ট হাউজের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন অনৈতিক ও অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে।  


সাভার বাসস্ট্যান্ডের হকারদের সঙ্গে আলাপ করলে জানা যায়, খুব ভোরে কোন এক ব্যক্তি ফুটপাত কিংবা ওভারব্রিজে হোটেলগুলোর দালালরা কার্ডগুলো ছড়িয়ে রাখে। এসব কার্ডে ফোন দিলে তারা নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে সব ব্যবস্থা করে দেয়। তবে কিছু মানুষ প্রতারণারও শিকার হয়েছেন। তাদের ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।’


কার্ডের একটি নাম্বারে ফোন দিয়ে পুলিশি ঝামেলা হবে কিনা-জানতে চাইলে অপরপ্রান্ত থেকে বলেন, আমাদের হোটেল ১০০% নিরাপদ। মেইন রোডের পাশে অবস্থিত। এখানে ঝামেলা-টামেলা হবে না। এটা পুরাতন হোটেল, যাদের নতুন হোটেল তাদের কাগজপত্র থাকে না, তাদের সমস্যা হয়। এটা ১০০% সিকিউর হোটেল।


সাভারের সবচেয়ে জনবহুল সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ক্যাপ্টেন সামাদ টাওয়ারের উপরে দুবাই গেস্ট হাউজের নামে চলছে অবৈধ দেহ ব্যবসা। একইভাবে গেন্ডা বাসস্ট্যান্ড এলাকায়র ইউটার্ণ-এর পশ্চিম পাশে ‘আকাশ গেস্ট ইন’ ও হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে ‘আকাশ ছোঁয়া গেস্ট হাউজ’-এর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ রয়েছে।


জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গোপালগঞ্জের প্রভাব খাটিয়ে মাহমুদ নামে এক ব্যক্তি সাভার বাসস্ট্যান্ডের প্রাণকেন্দ্র সামাদ টাওয়ারে দুবাই গেস্ট হাউজ এবং আশুলিয়ার বাইপাইলে হিমালয় গেস্ট হাউজ চালু করেন। শুরু থেকেই এসব হোটেলের বিরুদ্ধে অনৈতিক কার্যক্রমের অভিযোগ উঠলেও তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দেদারছে। তবে  ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরপরই বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা দুবাই গেস্ট হাউজে ভাঙচুর চালায় দেহ ব্যবসার অভিযোগে। ঘটনার পর কিছুদিন দুবাই গেস্ট হাউজটি বন্ধ থাকলেও সম্প্রতি আবারো নতুন করে অবৈধ ব্যবসা শুরু হয়েছে।


স্থানীয়দের অভিযোগ, দিনের বেলায় শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঘণ্টা ভিত্তিতে এসব হোটেলের রুম ভাড়া নিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত হন। আবার হোটেল কর্তৃপক্ষের এজেন্টরা দেহ ব্যবসার জন্য নারী সরবরাহ করেন।


স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, “সাভারে অনেক বছর এ ধরনের অনৈতিক কাজ বন্ধ ছিল। কিন্তু দুবাই গেস্ট হাউজ চালু হওয়ার পর নতুন করে এ ব্যবসা শুরু হয়েছে। এতে এলাকায় একটা অশ্লীল-অশালীন পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।”


দুবাই গেস্ট হাউজের ম্যানেজার আল আমিনের সঙ্গে সেল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কোন কার্ড সাভারের গেন্ডা থেকে রেডিও কলোনি পর্যন্ত পড়ে না। এগুলো অন্য হোটেলের। আমাদের কার্ড অন্য এলাকায় পড়ে। আমরা কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী ঘণ্টা ভিত্তিতে রুম ভাড়া দিয়ে থাকি।’ 


তিনি আরও জানান, একই মালিকের বাইপাইলের হিমালয় গেস্ট হাউজ রয়েছে। তবে সেটি বর্তমানে খোলা আছে কি না তিনি নিশ্চিত নন। 


এ প্রতিবেদক খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, গত ১৩ জুলাই মাসে আশুলিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ১৩ নারী-পুরুষ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তাদের মধ্যে ৭ জন এবং ৬ জন নারী ছিলো। পুলিশের অভিযানের পর বাড়ির মালিক হিমালয় গেস্ট হাউজটি তালা লাগিয়ে বন্ধ করে দেয়।


এ ব্যাপারে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সাভার নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো: জিয়াউদ্দিন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আবাসিক হোটেল বা গেস্ট হাউজের নামে এসব কর্মকান্ড চলতে থাকলে সাভারের যুবসমাজ ধংসের মুখে পড়বে। আমি প্রশাসনের কাছে এ সব নিন্দিত, ঘৃণিত, বেআইনী এবং অনইসলামিক কর্মকান্ড দ্রুত বন্ধ করে এসব ঘটনায় জড়িতদের আইনের হাতে সোপর্দের আহবান জানাচ্ছি। 


বিষয়টি সম্পর্কে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সাভার নাগরিক কমিটি ও সাভার উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন খান নঈমের মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন, আমাদের দেশে আবাসিক হোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউজের প্রয়োজন অস্বীকার করা যাবে না। এ ব্যবসা পরিচালনার জন্য একটা নীতিমালাও আছে। কিন্তু কিছু দুষ্টুচক্র নীতিমালা উপেক্ষা করে সাভারের বিভিন্ন এলাকায় বিভন্ন নামে আবাসিক হোটেল, গেস্ট হাউজ খুলে মিনি পতিতালয় বানিয়ে ফেলেছে। এখানে নারী ব্যবসা, মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনৈতিক এবং অপরাধমুলক কর্মকান্ড চলে। আমি এসবের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলবো অবিলম্বে এসব বেআইনী কর্মকান্ড সমূলে উৎপাটন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।


এ ব্যাপারে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) জামায়াতে ইসলামী ঢাকা জেলার রাজনৈতিক সেক্রেটারী ও আগামী সাভার পৌর নির্বাচনে জামায়াত মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান মাহবুব মাস্টারের সঙ্গে আলাপ হয়। তিনি বলেন, ইদানিং সাভারের বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কিছু গেস্ট হাউজের সাইন বোর্ড নজরে পড়ে। চলার পথে রাস্তাঘাটে কিছু ভিজিটিং কার্ডও চোখে পড়ে। শোনা যাচ্ছে, এ সব জায়গায় অনইসলামিক এবং অনৈতিক কর্মকান্ড হচ্ছে। এসব কর্মকান্ড খুবই উদ্বেগের বিষয় এবং সুস্থ সমাজ বিনির্মাণেও অন্তরায়। তিনি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অবিলম্বে এ সব অনৈতিক, বেআইনী এবং ঘৃণিত কর্মকান্ড বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান।


এ ব্যাপারে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আরাফাতুল ইসলাম (ক্রাইম, অপস্ ও ট্রাফিক উত্তর) সঙ্গে আলাপ করলে বলেন বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে ওসি সাহেবকে জানিয়ে রাখেন। অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।


এ বিষয়ে সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আবুবকর সরকারের কাছে জানতে চাইলে বলেন, আমরা সাভারে অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ব্যবস্থা নিচ্ছি। কোন আবাসিক হোটেল, গেস্ট হাউজের বিরুদ্ধে এ রকম অনৈতিক, অসামাজিক কর্মকান্ডের অভিযোগ থাকলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অবশ্যই ব্যবস্থা নিবো।


 

সর্বাধিক পঠিত