বৃহস্পতিবার, 9 অক্টোবর 2025
MENU
daily-fulki

সাভারে ইউএনওর হাত ধরে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে


স্টাফ রিপোর্টার : সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আবুবকর সরকার। তিঁনি যোগদানের পর থেকেই একাধারে সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সাভার উপজেলা প্রশাসক এবং সাভার পৌর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিঁনি অনেকদিন সাভার উপজেলার ১২টি ইউনিয়নেরও প্রশাসক হিসেবে দাযিত্ব পালন করেছেন। তাঁর প্রশাসনিক কঠোর শৃঙ্খলা রক্ষার ভূমিকা চোখে পড়ার মতো। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং সরকারি নির্দেশনার সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করছেন। 


উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আবুবকর সরকার সাভার উপজেলা ও পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করায় সাভারে বিভিন্ন রাস্তাঘাট, মসজিদ-মাদ্রাসা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মন্দির সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোও সুন্দর এবং সুষ্ঠুভাবে উদযাপন করেছেন।


এছাড়াও অতিসম্প্রতি তিনি সাভারের সবুজায়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন এবং পরিবেশ রক্ষায় একদিনে এক লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন। পাশাপাশি উপজেলা পরিষদ মাঠ সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধন, মডেল মসজিদে ছাদবাগান, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সোলার প্যানেল স্থাপন এবং পাবলিক লাইব্রেরি সংস্কার সাভারের অবকাঠামোয় যোগ করেছে নতুন পালক।


সাভার থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাভার ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন বলেন, ‘উন্নয়ন হচ্ছে ঠিকই। তবে ইউএনও মহোদয়ের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। তাঁর সময়োপযোগী দিক নির্দেশনায় আমরা জনপ্রতিনিধিরাও স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারছি।’


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা জেলার সেক্রেটারি মো. আফজাল হোসাইন বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রায় ১৬ বছর আমাদের নিজেদের অধিকার নিয়ে কথা বলার কোন সুযোগ ছিল না। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আমরা এই ইউএনও মহোদয়কে পেয়েছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, তার কাছে আসা সেবাপ্রত্যাশীদের কথা ধৈর্য্য সহকারের শুনেন, বুঝেন এবং সাধ্য অনুযায়ী সমাধানের চেষ্টা করেন। একজন সরকারি কর্মকর্তার কাছে আমাদের এর চেয়ে বেশি কিছু চাওয়া কিংবা পাওয়ার নেই। তিনি সাভারে যোগদানের পর থেকে রাস্তাঘাট, সবুজায়ন, পরিবেশ দূষণের হাত থেকে সাভারকে রক্ষা করাসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছেন এবং আরও বিভিন্ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছেন যা খুবই ইতিবাচক। তবে যেহেতু জনপ্রতিনিধির কাজগুলো ইউএনও সাহেবকেই করতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে এত বড় উপজেলার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মাঝে মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতার মধ্যেও তাকে পড়তে হয়। সব মিলিয়ে আমার মূল্যায়ন হচ্ছে তিনি ভালো কিছু করার চেষ্টা করছেন, যেটি নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।’


সাভার থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন বলেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পরিবেশ রক্ষায় কঠোর অবস্থান নেন ইউএনও সাহেব। হাইকোর্টের নির্দেশে অবৈধ ৩২টি ইটভাটা ভেঙে দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি অবৈধ শিসা ফ্যাক্টরি বন্ধ এবং মাটি কাটার ভেকু অপসারণ করা হয়। আমার কাছে মনে হয়েছে, ইউএনও সাহেব একজন সৎ ও নিরপেক্ষ কর্মকর্তা এবং তিনি জবাবদিহিতায় বিশ্বাস করেন। আমার নিজের একটি ইটভাটা ছিল সেটিও তিনি গুঁড়িয়ে দিয়েছেন।’
জনাব কফিল উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমি সাবেক সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান এবং বিএনপি নেতা হওয়া সত্ত্বেও তিনি একবারের জন্যও আমাকে সময় দেওয়া কিংবা জিজ্ঞেস করার পর্যন্ত প্রয়োজন মনে করেননি। তিনি তার দায়িত্ব পালন করেছেন। এমন সাহসিকতা এবং দায়িত্বশীলতাকে আমি স্বাগত জানাই। সরকারি কর্মকর্তারা এমন দায়িত্বশীল ও জবাবদিহিতামূলক আচরণ করবেন এমন চাই। আমার কাছে মনে হয়েছে বর্তমান ইউনএনও সাহেব সাভারে যোগদানের পর থেকে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে এবং এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে সাভারবাসী স্থায়ীভাবে লাভবান হবেন।’
 

সর্বাধিক পঠিত