মঙ্গলবার, 9 সেপ্টেম্বর 2025
MENU
daily-fulki

প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে কর্মমুখী শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম : প্রধান উপদেষ্টা


স্টাফ রিপোর্টার : প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকার জন্য কর্মমুখী ও দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।

page-top-ad
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আজ রোববার দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ৮ সেপ্টেম্বর ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৫’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।

সাক্ষরতা একটি জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য অতি প্রয়োজনীয় উপাদান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যেখানে প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের সুযোগ সবার জন্য, বিশেষ করে নারী, শিশু, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। শিক্ষকদের ডিজিটাল প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থীদের হাতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি এবং অভিভাবকদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনার জন্য আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।’

ড. ইউনূস বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর এই আধুনিক পৃথিবীতে সাক্ষরতার ধারণা আজ শুধুমাত্র পড়ালেখার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এর সাথে যুক্ত হয়েছে ডিজিটাল জ্ঞান, তথ্য ব্যবহারের দক্ষতা এবং প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষায় অংশগ্রহণের সক্ষমতা।

তিনি বলেন, ‘এখন তথ্য খুঁজে বের করা, বিশ্লেষণ করা, অনলাইনে শেখা ও দৈনন্দিন সমস্যার সমাধান খোঁজা- এ সবই কার্যকর সাক্ষরতার অংশ। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে যারা পিছিয়ে পড়ছে, তারা কেবল শিক্ষাবঞ্চিতই নয়, বরং সমাজ ও অর্থনীতির মূল স্রোত থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘প্রযুক্তির যুগে সাক্ষরতার প্রসার’ সময়োপযোগী ও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে আমি মনে করি।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশকে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুনভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। আসুন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করি, যেখানে প্রযুক্তি ও সাক্ষরতার সম্মিলিত শক্তিতে গড়ে উঠবে একটি জ্ঞানভিত্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মানবিক সমাজ।’

তিনি ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

 

সর্বাধিক পঠিত