জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (জাকসু) হল সংসদ পর্যায়ে ৬৩টি পদে প্রার্থী খুঁজে পায়নি নির্বাচন কমিশন। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন এমন পদের সংখ্যাও শতাধিক। এসব পদের অধিকাংশই ছাত্রী হলে।
‘সাইবার বুলিং’য়ের শঙ্কায় নারীদের অংশগ্রহণ কমেছে বলে জানিয়েছেন প্রার্থীরা। এদিকে প্রার্থী সংকট থাকায় ভোটাররা কতটুকু উত্সবমুখর পরিবেশে ভোট দেবেন, সেই বিষয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাকসুর প্রার্থীরা।
তবে নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিবের দাবি, ভোটার কম-বেশির ওপর নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়া নির্ভর করছে না।
জাকসু নির্বাচনে ভোট দেবেন প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী। কেন্দ্রীয় সংসদের সব আসনে প্রার্থী খুঁজে পেলেও হল সংসদ পর্যায়ে প্রার্থী খুঁজতে দ্বিধায় পড়তে হবে ভোটারদের। কেননা ২১টি হলের মোট ৩১৫টি পদের মধ্যে ১৬৫ পদেই হবে না কোনো নির্বাচন। ছাত্রীদের ১০টি আবাসিক হলের মধ্যে পাঁচটি হলের ভিপি পদে নেই কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী।
সন্তোষজনক প্রার্থী নেই ছাত্রদের হলগুলোতেও। ১১টি হলের মধ্যে অন্তত ছয়টি হলে একাধিক পদে প্রার্থী নেই। আর যেসব পদে ভোট হবে সেসব পদেও নেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো আভাস। কোনো কোনো প্রার্থী মনে করেন, সাইবার বুলিংয়ের কারণেই জাকসুর হল সংসদে নারী প্রার্থীদের সংখ্যা অনেক কমেছে।
এমন প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কতটুকু উৎসবমুখর হবে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন প্রার্থীরা। প্রার্থী সংকটে ভোটারের উপস্থিতি কম হওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। নির্বাচনকে আকর্ষণীয় করে তুলতে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগের অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ প্রার্থীদের।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
জাকসু নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোটারদের উপঢেৌকন দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাম সমর্থিত প্যানেল-সংশপ্তক পর্ষদ। এজিএস প্রার্থী সোহাগী সামিয়া সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন। সকালে নতুন কলাভবন চত্বরে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলন করেন সংশপ্তক পর্ষদের প্রার্থীরা।
তারা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৭ হাজার টাকা খরচ করতে পারলেও অনেক প্রার্থী প্রতি ঘণ্টায়ই তা ব্যয় করছে