স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগরে ১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে সাঈদ মোল্লা নামের এক ব্যক্তিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
পাশাপাশি আসামির স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বিক্রি করে ভুক্তভোগীকে অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করে দিতে ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় দেন বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. এরশাদ আলম জর্জ।
ধর্ষণ মামলায় সাজা পাওয়া আসামি সাঈদ মোল্লা (৫৫) খুলনার দীঘলিয়া থানার চন্দনীমহল গ্রামের মৃত হামিদ মোল্লার ছেলে। যে বাড়িতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, সেই বাড়ির কেয়ারটেকার ছিলেন তিনি।
আজ রায় ঘোষণার দিন আসামিকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। ঘোষণা শেষে তাঁকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর ছোট মসজিদের পাশে একটি ভাড়া বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকত ওই কিশোরী। সাঈদ মোল্লা ওই ভবনের কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করতেন। তিনি প্রায়ই ভুক্তভোগীকে কুপ্রস্তাব দিতেন। ২০২১ সালের ২ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে ওই কিশোরী তাঁর ভাইকে খুঁজতে বাসা থেকে নিচে নামে। আসামি কৌশলে তখন তাকে ছাদে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে আবারও ধর্ষণ করা হয়। পরে ভুক্তভোগী বিষয়টি পরিবারকে জানায়। এরপর তার মা সাঈদ মোল্লার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পরের বছরের ৩১ আগস্ট মামলাটি তদন্ত করে সাঈদ মোল্লাকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই আলী জিন্নাহ। এরপর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিচার। বিচার চলাকালে আটজনের সাক্ষ্য নেন আদালত।