বৃহস্পতিবার, 9 অক্টোবর 2025
MENU
daily-fulki

সংসদ নির্বাচন: অক্টোবরের মধ্যে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত রাখতে চায়

সংসদ নির্বাচন: অক্টোবরের মধ্যে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত রাখতে চায়  

স্টাফ রিপোর্টার : ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগে অক্টোবরের মধ্যে ‘ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল’ প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।


মঙ্গলবার সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

 

ইসি উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, ৩০ অক্টোবরের মধ্যে প্যানেল প্রস্তুত করে ইসি সচিবালয়কে অবহিত করতে হবে।

 

দেশে এখন ভোটারের সংখ্যা ১২ কোটি ৬৩ লাখ; ৩১ অক্টোবরের পরে আরও লাখ দশেক নাম যুক্ত হবে এ তালিকায়।

সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্রে ১ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি ভোটকক্ষের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে ৯ লাখের মত ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োজিত ছিলেন।

 

প্রতি কেন্দ্রে একজন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা; প্রতি ভোটকক্ষে একজন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং দুইজন পোলিং অফিসার থাকতে হয়। প্রতি কেন্দ্রে পোলিং অফিসার প্রয়োজন হয় ৮ থেকে ১০ জন। অতিরিক্ত আরও ১০ শতাংশ বা ৪৫ হাজারের লোকবল প্রস্তুত রাখতে হয়।


সব মিলিয়ে ১০ লাখ ৮৯ হাজার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে এবার প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে ইসি।


অক্টোবরে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত রাখা হলেও তাদের মধ্য থেকে ‘নিরপেক্ষ ও দক্ষ’ লোকবল নিয়োগ করা হবে তফসিল ঘোষণার পর। তাদের ধাপে ধাপে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।


প্যানেলে কারা


ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত করতে মঙ্গলবার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় প্যানেল প্রস্তুত করতে হবে।

সেজন্য সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শ্রেণি বা গ্রেডভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর তালিকা ছক অনুসারে পাঠাতে হবে।


>> প্রিজাইডিং অফিসার: প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা, ক্ষেত্রবিশেষে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা এবং সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষক, রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংক-বীমার কর্মকর্তা এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান/সহকারী প্রধান শিক্ষক।


>> সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার: দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা, কলেজ ও মাদ্রাসার ডেমনস্ট্রেটর, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।


>> পোলিং অফিসার: বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও প্রাথমিক-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।


চিঠিতে বলা হয়েছে, চতুর্থ শ্রেণির (জাতীয় বেতন স্কেল ১৭-২০ গ্রেড) কোনো কর্মচারীকে প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। তবে প্রিজাইডিং অফিসারদের সহায়ক হিসেবে তাদের আলাদা তালিকা প্রস্তুত করা যেতে পারে।


যে বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে: প্যানেল তৈরির সময় কর্মকর্তাদের ‘সততা, দক্ষতা, সাহস, নিরপেক্ষতা, পদমর্যাদা, জ্যেষ্ঠতা ও কর্মদক্ষতা’কে গুরুত্ব দিতে হবে। ‘বিতর্কিত’ কর্মকর্তা-কর্মচারী কিংবা কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্যকে প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। প্রয়োজন হলে বয়স, শারীরিক ও মানসিক অবস্থা সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করে তালিকায় উল্লেখ করতে হবে।

নারী ভোটকেন্দ্রের জন্য নারী কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্তি: নারী ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক নারী সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগের জন্য নারী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর প্যানেল তৈরি রাখতে হবে।


নির্ধারিত সংখ্যার পাশাপাশি আরও ১০ শতাংশ অতিরিক্ত কর্মকর্তার নাম প্যানেলে রাখতে বলেছে ইসি। পাশাপাশি ভোটগ্রহণের বাইরেও রিটার্নিং অফিসার কার্যালয়, নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, নির্বাচনি তথ্য ও ফলাফল সংগ্রহ কেন্দ্র, মাঠ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণসহ অন্যান্য কাজের জন্য আলাদা একটি প্যানেল তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটের লক্ষ্যে ডিসেম্বরে তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে এএমএম নাসির উদ্দিন কমিশনের। ইতোমধ্যে নির্বাচন সামনে রেখে কর্মপরিকল্পনাও ঘোষণা করেছে ইসি।

 

সর্বাধিক পঠিত