জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ২৫ পদের বিপরীতে ১৭৯ জন প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে বিভিন্ন পদে আদিবাসী সম্প্রদায়ের আটজন, আর সনাতন ধর্মাবলম্বীর রয়েছেন ১৩ প্রার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী শিক্ষার্থীদের সংগঠন ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য বলছে, বর্তমানে ক্যাম্পাসে চাকমা, ত্রিপুরা, গারো, সাঁওতাল, তঞ্চঙ্গ্যা, মারমা, হাজংসহ দেড় শতাধিক আদিবাসী শিক্ষার্থী রয়েছেন। সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১ হাজার। এর মধ্যে ২১ শিক্ষার্থী প্রার্থী হলেন।
জাকসু নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ৮টি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। প্রার্থী তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৮ আদিবাসী প্রার্থীর সাতজনই ছাত্র ইউনিয়ন (অদ্রি-অর্ক), জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট ও ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সমর্থিত ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেল থেকে লড়বেন। একই প্যানেলে ভিপিসহ আছেন
ছয় সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রার্থী। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) সমর্থিত ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ প্যানেলে রয়েছে একজন আদিবাসী প্রার্থী।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলে সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রার্থী রয়েছেন একজন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া আব্দুর রশিদ জিতু-শাকিল আলী সমর্থিত ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’ প্যানেলে দু’জন, জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার (টিএসসি) ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমর্থিত ‘স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ’ প্যানেলে দু’জন সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রার্থী রয়েছেন। তবে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (ইমন-তানজিম) এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সমর্থিত ‘সংশপ্তক পর্ষদ’ এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্কসবাদী) সমর্থিত প্যানেলে নেই কোনো আদিবাসী ও সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রার্থী।
ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল থেকে জিএস প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম বলেন, আদিবাসী শিক্ষার্থীদের প্যানেলে ভেড়ানোর চেষ্টা করেছি। তবে তারা কেউই
আগ্রহ দেখায়নি।