বৃহস্পতিবার, 9 অক্টোবর 2025
MENU
daily-fulki

কক্সবাজারে দখলমুক্তির অভিযানে বাঁকখালী নদীর ৫ একর জায়গা উদ্ধার


কক্সবাজার সংবাদদাতা : কক্সবাজার শহরের প্রাণ বাঁকখালী নদীকে দখলমুক্ত করতে বিআইডব্লিউটিএ ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুরু হয়েছে উচ্ছেদ অভিযান।  সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে শুরু হওয়া প্রথম দিনের অভিযানে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীর প্রায় ৫ একর জায়গা উদ্ধার করা হয়।


অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক মো: খায়রুজ্জামান, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড, পরিবেশ অধিদপ্তর, নৌ-পুলিশ ও পৌরসভার কর্মকর্তারা।
একই সাথে যে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়ন করা হয় সেনাবাহিনীর-পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য।


প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দীর্ঘদিন ধরে নদীর তীরে ভূমিদস্যু প্রভাবশালী মহল স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করে নদীর প্রবাহ সংকুচিত করে আসছিল। এতে একদিকে নাব্যতা হারাচ্ছিল নদী, অন্যদিকে বর্জ্য ও দখলের কারণে পরিবেশেরও মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছিল।


প্রথম দিনের অভিযানে নদীর কস্তুরাঘাট অংশে এই উচ্ছেদ পরিচালনা করা হয়।
৫ দিনে এই অভিযানে পর্যায়ক্রমে পুরো বাঁকখালী নদী দখলমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: খায়রুজ্জামান। তিনি বলেন, নদীর জায়গায় ভরাট করা মাটি নিলামে বিক্রি করে ড্রেজিং করে এসব জায়গা নদীর সাথে পুনরায় সংযোগ স্থাপন করা হবে।


কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গত শনিবার কক্সবাজার সার্কিট হাউসে হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়নে একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নৌপরিবহন উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
নদী রক্ষায় সিদ্ধান্ত হয়েছে– সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীর সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।’


গত ২৪ আগস্ট হাইকোর্ট সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, আগামী চার মাসের মধ্যে সব দখলদার উচ্ছেদ করতে এবং ছয় মাসের মধ্যে বাঁকখালী নদীকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ঊঈঅ) ঘোষণা করতে। একই সঙ্গে নদীর আরএস জরিপ অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ, ম্যানগ্রোভ বন পুনরুদ্ধার এবং নদী সংলগ্ন সব ইজারা বাতিলের নির্দেশ এসেছে।
আদালত মামলাটিকে চলমান ঘোষণা করে প্রতিবছর জানুয়ারি ও জুলাই মাসে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছে।


২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে হাইকোর্টের নির্দেশে জেলা প্রশাসন ৪ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে এবং ৩০০ একর প্যারাভূমি মুক্ত করে।


কিন্তু মাত্র ৪৫ দিনের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে একই জায়গায় ফের স্থাপনা তৈরি শুরু হয়।

 

 

সর্বাধিক পঠিত