জাবি প্রতিনিধি : তিন দশক পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এ নির্বাচন ঘিরে ইতোমধ্যে পুরো ক্যাম্পাসে তৈরি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ।
প্রচারণায় সরগরম ক্যাম্পাস। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পোস্টার, লিফলেট, পথসভা ও নানা কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে নিজেদের ভিশন তুলে ধরছেন। হল, ডিপার্টমেন্ট, ক্যাফেটেরিয়া, মিলনায়তন ও বটতলা—সব জায়গাতেই চলছে প্রচারণা।
রোববার (৩১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও একাডেমিক ভবনে প্রার্থীদের প্রচার দেখা গেছে। তারা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে পরিবহন সংকট নিরসন, হলের খাবারের মানোন্নয়ন, নিরাপত্তা, আবাসন সুবিধা বৃদ্ধি ও শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার করছেন।
এবারের নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক ধারার ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও পিছিয়ে নেই। শিক্ষার্থীদের একাংশ তাঁদের প্রতিও আগ্রহ দেখাচ্ছেন। অনেক শিক্ষার্থীর মতে, এত বছর পর ভোট দিতে পারা গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চার বড় সুযোগ।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল প্রচারণা চালিয়েছে নতুন কলা ভবন ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদে। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম প্রচারণা করেছে মুরাদ চত্বর ও শহীদ মিনার এলাকায়। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত শিক্ষার্থী সমন্বিত জোট প্রচারণা চালিয়েছে বিভিন্ন আবাসিক হলে ও একাডেমিক ভবনের আশপাশে। ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেল শহীদ সালাম বরকত হল ও আল-বেরুনি হলে প্রচারণা চালিয়েছে। এ ছাড়া কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও নিজস্বভাবে প্রচার চালিয়েছেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোনীত ভিপি প্রার্থী মো. শেখ সাদী হাসান বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের কাছে যাচ্ছি। তারা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তাদের সমস্যা ও প্রত্যাশার কথা জানাচ্ছেন। আমরা অনেক ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি।’
জাকসু নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট আয়োজনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ফলে দীর্ঘ তিন দশক পর অনুষ্ঠিতব্য এ নির্বাচন ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।