সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. সেলিমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিংগাইর উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আওয়াল শরীফ খোকন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী অসংলগ্ন বক্তব্য প্রদান, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পাতানো অবৈধ নির্বাচনে অংশগ্রহণ, বর্তমান সরকার এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরাসরি মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য প্রদান, বিএনপির চেয়ারপারসনের দুই উপদেষ্টার ইমেজ মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন করা এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবিদুর হমান খান রোমান ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান মিঠু’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে দলীয় সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি ও দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সেলিমের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম, ব্যক্তিগত স্বার্থে দলীয় পদ ব্যবহার এবং বিভিন্ন কার্যক্রমে সংগঠনের ক্ষতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এ কারণে জেলা বিএনপির নির্দেশনা অনুসারে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদিকে, সিংগাইর উপজেলা, ইউনিয়ন ও সহযোগী সংগঠনসমূহের দলীয় সকল নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে বহিষ্কৃত নেতা মো. সেলিম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে সিংগাইর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মিঠু বলেন, “দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিরুদ্ধে বিএনপি সবসময় কঠোর অবস্থানে থাকে। সেলিমের বিরুদ্ধে প্রমাণিত অভিযোগের ভিত্তিতেই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের ভাবমূর্তি রক্ষা ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এটি একটি প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত।”
প্রসঙ্গত, জনৈক ব্যবসায়ী আবু সুফিয়ান সিদ্দিকীর দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলায় গত ২৩ আগস্ট বিকেলে সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই মামলায় তার ছেলে পলাশসহ (২৬) অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামী করা হয়। মামলায় জামিন পেয়ে সেলিম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ে নেতিবাচক বক্তব্য দিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জন্ম দেয়। তার এমন বক্তব্যে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় বলে বিএনপি’র পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।