মঙ্গলবার, 26 আগস্ট 2025
MENU
daily-fulki

টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ : হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিংহভাগ আসন থাকছে ফাঁকা


স্টাফ রিপোর্টার : আসন সক্ষমতা অনুযায়ী শিক্ষার্থী পাচ্ছে না দেশের টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজগুলো (টিএসসি)। প্রতি বছর এসব প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬২ শতাংশ আসন শূন্য থাকছে। এর পরও দেশে বাড়ছে টিএসসির সংখ্যা। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শিক্ষার সব স্তরেই মান নিশ্চিত না করে বরং অবকাঠামো নির্মাণে গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। কারিগরি শিক্ষা খাতেও বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্প নেয়া হয়। এর মধ্যে অন্যতম ৪২৯টি উপজেলায় ৪২৯টি টিএসসি নির্মাণের দুটি প্রকল্প। এর মধ্যে একটি প্রকল্পে ১০০টি এবং আরেকটি প্রকল্পের অধীন নির্মাণ হচ্ছে ৩২৯টি প্রতিষ্ঠান। চলতি বছর পর্যন্ত এগুলোর মধ্যে ৯১টি টিএসসিতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫০ শতাংশ শিক্ষকের পদ শূন্য। প্রয়োজনীয়সংখ্যক দক্ষ শিক্ষক ও প্রচারণার অভাবসহ বিভিন্ন কারণে এ প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পর এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষাবর্ষেই আসন সংখ্যা অনুযায়ী শিক্ষার্থী পায়নি। প্রকল্প দুটির মেয়াদ চলতি বছরের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ৩৩৮টি টিএসসির নির্মাণকাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। সম্প্রতি কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রথম প্রকল্পটির তৃতীয় সংশোধনের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাচ্ছে, ৩২৯টি টিএসসি নির্মাণের দ্বিতীয় প্রকল্পটির মেয়াদও বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে।


কারিগরি বোর্ডের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিক্ষা কার্যক্রম চালু ছিল এমন ১৪৯টি টিএসসির প্রায় ৬২ শতাংশ আসনই ছিল ফাঁকা। এর মধ্যে ১৩৬টি টিএসসিতে চালু ছিল নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা কার্যক্রম। এসব প্রতিষ্ঠানে মোট আসন সংখ্যা ২৬ হাজার ৬৫০। এর বিপরীতে শিক্ষার্থী ভর্তি হয় ১০ হাজার ৬০৩ জন। অর্থাৎ প্রায় ১৬ হাজার ৪৭টি আসনই শূন্য, যা মোট আসনের ৬০ দশমিক ২১ শতাংশ। একই অবস্থা এসএসসি (ভোকেশনাল) ও এইচএসসি (ভোকেশনাল) কোর্সেও। এসএসসি (ভোকেশনাল) কোর্স চালু আছে ১৪৯টি প্রতিষ্ঠানে এবং আসন সংখ্যা ১ লাখ ৫ হাজার ৬০০। এর বিপরীতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি হয় ৩৮ হাজার ৬২০ জন। আসন ফাঁকা ছিল ৬৬ হাজার ৯২০টি, যা মোট আসনের ৬৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এইচএসসি (ভোকেশনাল) কোর্সে ১৪৯টি প্রতিষ্ঠানে আসন সংখ্যা ২৪ হাজার ৫০। শিক্ষার্থী ভর্তি হয় ৯ হাজার ৯৯ জন। আসন ফাঁকা ছিল ১৪ হাজার ৯৫১টি, যা মোট আসনের ৬২ দশমিক ১৬ শতাংশ।


সব মিলিয়ে ১৪৯টি প্রতিষ্ঠানে মোট আসন ছিল দেড় লাখের বেশি। নির্মাণাধীন ৩৩৮টি প্রতিষ্ঠান চালু হলে আসন বাড়বে প্রায় ২ লাখ ৮৩ হাজার ৯২০টি।

কারিগরি অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলোয় ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের প্রি-ভোকেশনাল এবং নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত কমপক্ষে চারটি করে ট্রেডে পড়াশোনা করানো হয়। এছাড়া এসএসসি (ভোকেশনাল) ও এইচএসসি (ভোকেশনাল) কোর্সসহ বিভিন্ন ট্রেডের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। বর্তমানে সব কোর্স চালু আছে এমন প্রতিষ্ঠানে বেশির ভাগ আসন ফাঁকা থাকছে। আগের ৬৪টিসহ বর্তমানে ১৫৫টি টিএসসির কার্যক্রম চালু রয়েছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ৪২৯টি টিএসসি নির্মাণে ব্যয় হবে মোট ২৩ হাজার ৪৬ কোটি টাকা। আওয়ামী সরকারের আমলে দুই দফায় সংশোধনের মাধ্যমে প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানো হয়েছে।

কারিগরি শিক্ষার মান না বাড়িয়ে নতুন প্রতিষ্ঠান নির্মাণের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে মনে করেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে কারিগরি শিক্ষায় দক্ষতা বাড়ানো খুবই জরুরি। শ্রমবাজারের চাহিদার সঙ্গে মিল রেখে কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে না। উপযুক্ত প্রশিক্ষণের অভাবে এ খাতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ছাত্ররা পিছিয়ে পড়ছে।’

ড. মোস্তাফিজুর রহমান আরো বলেন, ‘নতুন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে বাজারের চাহিদার সঙ্গে মিল রেখে নেওয়া হচ্ছে কিনা, এতে কী ধরনের কারিকুলাম হবে, বৃত্তিমূলক শিক্ষার পাশাপাশি আদর্শ শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে কিনা এবং যন্ত্রপাতিগুলো আধুনিক কিনা সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা দরকার।’

নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ১০০টি উপজেলায় একটি করে টিএসসি নির্মাণের প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছিল ২০১৪ সালে। ওই সময় প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯২৪ কোটি টাকা। ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে এসব টিএসসি নির্মাণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের সিকিভাগও বাস্তবায়ন না হওয়ায় বাড়ানো হয় বরাদ্দের পরিমাণ ও মেয়াদ। দুই বছর মেয়াদের সে প্রকল্প ২০২৫ সালে এসেও শেষ হয়নি। সম্প্রতি কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রকল্পটির তৃতীয় সংশোধনের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। এ নিয়ে ১২ আগস্ট পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভা (পিইসি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রকল্পটির মেয়াদ আরো দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে ব্যয় বাড়ানোরও প্রস্তাব করায় প্রকল্পটির ব্যয় দাঁড়াবে ২ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা। পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে বাস্তবায়ন অগ্রগতি ছিল ৭৬ দশমিক ২৩ শতাংশ।

এদিকে, ২০১৪ সালের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষ না করেই ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আরো ৩২৯টি টিএসসি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় শেখ হাসিনার সরকার। সমসংখ্যক উপজেলায় এসব প্রতিষ্ঠান নির্মাণ হওয়ার কথা। এক্ষেত্রে প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। ব্যয় ধরা হয়েছিল ২০ হাজার ৫২৬ কোটি টাকা। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, এ প্রকল্পেরও মেয়াদ বৃদ্ধির প্রয়োজন হতে পারে।

পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. কাইয়ুম আরা বেগম বলেন, ‘আমাদের ইচ্ছা থাকলেও প্রকল্পটি বন্ধ করা যাচ্ছে না। কারণ ইতোমধ্যে প্রকল্পের আওতায় অনেক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সরকারও দেশে কারিগরি শিক্ষার বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে। দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। এ অবস্থায় কর্মসংস্থানমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার বিকল্প নেই।’

এদিকে, কারিগরি শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা বলছেন, আধুনিক কারিকুলাম ও পর্যাপ্তসংখ্যক দক্ষ শিক্ষকের অভাব, কারিগরি শিক্ষা নিয়ে অভিভাবকদের নেতিবাচক ধারণা, কারিগরি শিক্ষার সঠিক প্রচার না থাকা এবং উপযুক্ত কর্মসংস্থানের অভাবে এসব প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থী আকর্ষণে ব্যর্থ হচ্ছে এবং বিপুলসংখ্যক আসন ফাঁকা থাকছে। তাদের মতে, এসব সংকট নিরসন না করলে কারিগরি শিক্ষা থেকে কাঙ্ক্ষিত ফল আসবে না। গণসাক্ষরতা অভিযান প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন ‌এডুকেশন ওয়াচ-২০২২-এর তথ্য অনুযায়ী, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৭০ শতাংশের বেশি শিক্ষক মনে করেন, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক পাঠক্রমের বেশির ভাগ কোর্স বর্তমান বাজারের চাহিদার তুলনায় সেকেলে। এছাড়া প্রায় ৬৫ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষক উন্নত কারিগরি যন্ত্রাংশের অভাব এবং ৪৮ শতাংশ শিক্ষক কারিগরি পাঠদানের ক্ষেত্রে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে শিক্ষক সংকটের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। এ জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৪৩ শতাংশ চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হিসেবে উন্নত যন্ত্রাংশ ও কারিকুলাম আধুনিকায়নের পরামর্শ দিয়েছেন।

 

বাজারের চাহিদার তুলনায় কারিগরি শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে থাকার চিত্রটি উঠে এসেছে বিভিন্ন সরকারি গবেষণা প্রতিবেদনেও। কারিগরি শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ মাধ্যমিক স্তর শেষে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন। কিন্তু ডিগ্রি শেষেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বেকার থাকছেন। জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) ২০২১ সালের এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের মধ্যে ৫৪ শতাংশ কর্মজীবী, ৪ শতাংশ উদ্যোক্তা, ৩৮ শতাংশ বেকার ও ৪ শতাংশ কাজে আগ্রহী নন। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে বেকারত্বের হার বেশি। গ্রামাঞ্চলে মাত্র ৪৮ শতাংশ ডিপ্লোমাধারী কর্মক্ষেত্রে রয়েছেন। ওই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, কর্মজীবীদের ৬৫ শতাংশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে, ২৪ শতাংশ ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে, ৬ শতাংশ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা এনজিওতে ও ৫ শতাংশ কাজ করছেন সরকারি প্রতিষ্ঠানে।

কারিগরি শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য বিদেশী শ্রমবাজারের জন্য দক্ষ কর্মী তৈরির মাধ্যমে রেমিট্যান্স আয় বৃদ্ধি। তবে রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) এক প্রতিবেদন বলছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে কর্মী গেছেন ১০ লাখ ১১ হাজার ৯৬৯ জন। তাদের মধ্যে দক্ষ কর্মীর সংখ্যা মাত্র ২ লাখ ১৪ হাজার ৪৪, যা গত বছর মোট বিদেশগামী কর্মীর ২৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। একই সময়ে স্বল্পদক্ষ কর্মী (অদক্ষ) হিসেবে বিদেশে গেছেন ৪ লাখ ৯১ হাজার ৪৮০ জন বা ৫৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জনশক্তি রফতানির অর্ধেকের বেশি অদক্ষ বা স্বল্পদক্ষ কর্মী হিসেবে বিদেশে যাচ্ছেন। এছাড়া আধা-দক্ষ কর্মী হিসেবে বিদেশে গেছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ১২৮ জন বা ১৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক আসন ফাঁকা থাকার বিষয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘চীনসহ যেসব দেশের অর্থনীতি দ্রুততম সময়ে বিকাশিত হয়েছে, যেসব রাষ্ট্র দ্রুত উন্নতি করেছে, তারা সবাই কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমেই তা সম্ভব করেছে। বাংলাদেশকেও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে হলে কারিগরি শিক্ষায় জোর দিতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে এ কারণেই প্রতিষ্ঠান বাড়ানো হচ্ছে। তবে আমাদের এখানে শিক্ষক সংকট, প্রচারণার ঘাটতি, কারিগরি শিক্ষার বিষয়ে জনসচতেনতার অভাবসহ বেশকিছু সংকট রয়েছে, যা কারিগরি শিক্ষার প্রসারে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করছে। বিশেষত কারিগরি শিক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নেতিবাচক ধারণা এক্ষেত্রে একটি বড় বাধা। বেশির ভাগ মানুষই এ শিক্ষার যথাযথ প্রয়োগ ও গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত নন। তারা মনে করেন এটি কম মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য। অভিভাবকরা এখনো মেধাবী সন্তানকে কারিগরি প্রতিষ্ঠানে পড়াতে চান না। এছাড়া সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও চায় না তাদের শিক্ষার্থীরা কারিগরিতে আসুক। নানাভাবে তারা শিক্ষার্থীদের বাধাগ্রস্ত করে। এসব কারণেই আসন ফাঁকা থাকে। তাই প্রচারণা বৃদ্ধি এবং কর্মক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষার্থীদের যথাযথ মূল্যায়ন ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা এ ধারায় আগ্রহী হয়।’

মো. রুহুল আমিন আরো বলেন, ‘বর্তমানে প্রতিষ্ঠানগুলোয় যে শিক্ষক সংকট রয়েছে তা দ্রুততম সময়ে নিয়োগের মাধ্যমে দূর করার চেষ্টা চলছে। সম্প্রতি নতুন প্রায় ১ হাজার ৬০০ শিক্ষক যোগদান করেছেন। তবে এ খাতে শিক্ষার্থী বৃদ্ধিতে সরকারকে অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি নীতিগত কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কোন ধারায় কতসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকবে, সেগুলোয় কত শিক্ষার্থী পড়বে তা সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া প্রয়োজন।’
 

 

সর্বাধিক পঠিত