মঙ্গলবার, 26 আগস্ট 2025
MENU
daily-fulki

সিংগাইরে চাঁদাবাজির মামলায় বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার, ছেলে পলাতক!


সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি : চাঁদাবাজির মামলায় মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সেলিমকে (৫৪) গ্রেপ্তার করেছেন থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত সেলিম উপজেলার বাইমাইল গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মঈনুল ইসলাম খান শান্তর অনুসারী। 


জনৈক ব্যবসায়ী আবু সুফিয়ান সিদ্দিকীর দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলায় সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই মামলায় তার ছেলে পলাশসহ (২৬) অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামী করা হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে। 


পুলিশ জানায়, রবিবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১১টারদিকে গ্রেপ্তারকৃত সেলিমকে আদালতে  প্রেরণ করা হয়। এর আগে শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সিংগাইর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে সেলিমের ব্যক্তিগত অফিস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।


মামলার এজাহার সূত্রে জানা  যায়, ঢাকার মোহাম্মদপুরের ব্যবসায়ী আবু সুফিয়ান সিদ্দিকী ও সেলিম প্রায় দশ বছর ধরে জমি ক্রয়-বিক্রির ব্যবসা করে আসছেন। শুরুতে তাদের মধ্যে আর্থিক লেনদেন স্বাভাবিকভাবে চললেও পরবর্তীতে সেলিম ও সুফিয়ানের মধ্যে টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। শনিবার ব্যবসায়ীক কাজের উদ্দেশ্যে প্রাইভেটকার যোগে সুফিয়ান সিংগাইর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলে পরিকল্পিতভাবে ওৎ পেতে থাকা সেলিম ও তার ছেলেসহ আরো ১৫-২০জন তার গাড়ি গতিরোধ করে অতর্কিত হামলা করে। এ সময় তারা ওই ব্যবসায়ীর  কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মারধর করে তার পরিহিত ২৫ লাখ টাকা মূল্যের রোলেক্স ঘড়ি ও গাড়ির ব্যাক ডালায় থাকা ১৫ লাখ নগদ টাকা চাঁদা নেয়। 


এ সময় আরো ৫ লাখ টাকার জন্য সুফিয়ানকে টেনে হিঁচড়ে সেলিমের ব্যক্তিগত অফিসে নিয়ে আটকে রাখে। পরে ব্যবসায়ীর সাথে থাকা শিমুল থানা পুলিশকে খবর দেয়।পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে তাকে  উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত সেলিমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় সেলিমের ছেলেসহ পলাশ অন্যান্যরা। 


ব্যবসায়ী আবু সুফিয়ান সিদ্দিকী অভিযোগ করে বলেন,ওরা দীর্ঘদিন ধরে আমার কাছে চাঁদা দাবি করছিল। চাঁদার টাকা না দেয়ায় টাকা না দেয়ায ওইদিন পরিকল্পিতভাবে আমার গাড়ির গতিরোধ করে। পরে ভয়ে আমি ১৫ লাখ টাকা  চাঁদা দেই। এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করেছেন বলেও জানান।


এদিকে চাঁদাবাজি ও মাধরের অভিযোগ অস্বীকার করে গ্রেপ্তারকৃত সেলিমের ছেলে মামলার দুই নম্বর আসামী পলাশ বলেন, মামলার বাদি সুফিয়ানের কাছে তার বাবা ১৭১ শতাংশ জমির এক কোটি ৪০ লাখ টাকা পায়। পাওনা টাকা না দিয়ে ওই জমি অন্যের কাছে বিক্রির চেষ্টা করছে। টাকার জন্য চাপ দিলে এমন মিথ্যা মামলার নাটক সাজিয়েছে। এ বিষয় নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিস হয়েছে বলে পলাশ  দাবি করেন।  


এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার ওসি জেওএম তৌফিক আজম বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা দ্রুত অভিযান চালিয়ে মূল আসামি সেলিমকে গ্রেফতার করি। তবে ছেলে পলাশসহ বাকিরা পালিয়ে যায়। সেলিমকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।


 

সর্বাধিক পঠিত