স্টাফ রিপোর্টার : দেশে নতুন করে আরও ৫১৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান। বুধবার ঢাকার মহাখালীতে ট্রাস্ট আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা ৫০৮০টি কমিউনিটি ক্লিনিক মেরামত ও পুনঃস্থাপন করা হবে।
আক্তারুজ্জামান আরও জানান, নতুন কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো জাইকার অর্থায়নে করা হবে, আর মেরামত ও পুনঃস্থাপনের কাজে অর্থায়ন করবে ওপেক। তিনি বলেন, ‘সরকার যখন কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে, তখন লক্ষ্য ছিল ছয় হাজার মানুষের জন্য অথবা ৩০ মিনিট হাঁটার দূরত্বের মধ্যে একটি করে ক্লিনিক থাকা। তবে দেশের বাস্তবতায় সব জায়গায় এটি সম্ভব হয়নি। পাহাড়ি এলাকা, হাওর কিংবা চরাঞ্চলে অনেক স্থানে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার মানুষের জন্য একটি ক্লিনিক রয়েছে। ফলে সেখানকার কর্মীরা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। এই ঘাটতি পূরণ করতে আমরা নতুন করে কমিউনিটি ক্লিনিক বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছি।’
কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের জন্য স্থানীয় দাতাদের কাছ থেকে জমি নেওয়া হয়। সরকার সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করে চিকিৎসা কার্যক্রম চালায়। আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘যারা জমি দিতে আগ্রহী, তারা যদি নোটারি করা ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে আন্ডারটেকিং দেন, আমরা তাদের আবেদনকে অগ্রাধিকার দিয়ে তালিকাভুক্ত করছি। জমি পাওয়া গেলে দ্রুত সেই এলাকায় নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক গড়ে তোলা হবে। এটি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও স্বাস্থ্যসেবার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের পরিচালক আসিফ মাহমুদ, মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন এবং কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
বর্তমানে বাংলাদেশে ১৪ হাজার ৪৬৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। প্রতিটি ক্লিনিকে একজন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) এবং স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার পরিকল্পনা সহকারী সপ্তাহে দুই দিন সেবা দিয়ে থাকেন। প্রতিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম পরিচালিত হয় ১৩ থেকে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট কমিউনিটি গ্রুপের মাধ্যমে। বর্তমানে দেশে সিএইচসিপির সংখ্যা ১৩ হাজার ৯২৩ জন।