বুধবার, 20 আগস্ট 2025
MENU
daily-fulki

সাভার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুদ্দীন অপহরণের শিকার, লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে মুক্ত


ধামরাই প্রতিনিধি : ধামরাইয়ে সাইফুদ্দীন নামে এক সরকারি কর্মকর্তা বাড়ি ফেরার পথে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে হায়েস গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় অপরহণকারীরা। পরে লক্ষাধিক টাকা মুক্তিপণ পেয়ে তাকে ছেড়ে দেন অপহরণকারীরা। সাইফুদ্দীন সাভার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। সোমবার সন্ধ্যায় নিজবাড়িতে যাওয়ার পথে প্রাইভেটকার থেকে নামার পর তিনি অপরহরণের শিকার হন। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনাটি ঘটে। 


জানা গেছে, সাভার উপজেলার নির্বাচন অফিসার সাইফুদ্দীন সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টারদিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ডে সরাসরি লেনে মানিকগঞ্জে যাওয়ার উদ্দেশে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। এ সময় একটি সাদা রংয়ের হায়েস গাড়ি তার কাছে এসে দাঁড়ায়। ছয়জনের একটি দল তাকে জোর করে হায়েস গাড়িতে তুলে মানিকগঞ্জের দিকে রওয়ানা হয়। এরপর তার চোখ বেঁধে ফেলে। এ সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছে থাকা নগদ দুই হাজার টাকা হাতিয়ে নেন অপহরণকারীরা। পরে তার কাছে আরো দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

 

 পরবর্তীতে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে বিকাশের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ১ লাখ ৭ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে। তিন ঘন্টা পর তাকে পুনরায় ঢুলিভিটা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কাছে এনে ছেড়ে দেয়। মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ধামরাই থানায় কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।  


ঘটনার বর্ণণা দিয়ে সাইফুদ্দীন জানান, সোমবার ধামরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এসএম সাদিকুর রহমানের প্রাইভেটকারে আমি মানিকগঞ্জের গ্রামের বাড়ী যাওয়ার উদ্দেশ্যে সাভার থেকে উঠি। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ডে সরাসরি লেনে নেমে যাই। নামার পরই একটি হায়েস গাড়ি আমার কাছে এসে দাঁড়ায়। এরপর কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাকে দ্রুত ওই গাড়িতে জোরপুর্বক তুলে নিয়ে যায়। গাড়িতে তুলেই তারা কালো কাপড় দিয়ে চোখ বেধে ফেলে। 

 

এসময় হায়েস গাড়িতে চালকসহ ছয়জন ছিল। তারা আমার কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করে। না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে স্বজনদের কাছে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে এক লাখ সাত হাজার টাকা দেই। প্রায় তিন ঘন্টা তারা হায়েস গাড়িতে ঘুরাতে থাকে। এরপর তারা আমাকে ঢুলিভিটার পশ্চিম পাশে রাত সাড়ে নয়টার দিকে ছেড়ে দেয়। এসময় আমার একটি মোবাইলফোন সেট ও নগদ দুই হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয় তারা।

 মামলার করার বিষয়ে তিনি বলেন, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।  
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম বলেন, অপহরণের ঘটনা ও মুক্তিপণের বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


 

সর্বাধিক পঠিত