১৯৯৪ সালে মিস ইউনিভার্স খেতাব জয় করে যখন বলিউডে আসেন, তখন তার নামের পাশে তকমা লেগে যায় ‘বিশ্বসুন্দরী’। এরপর একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়ে সিনেপ্রেমী দর্শকদের মন জয় করেন বলিউড কুইন সুস্মিতা সেন।
এ অভিনেত্রীর ক্যারিয়ার মানেই ঝলমলে এক উজ্জ্বল সাফল্যের গল্প। বলি বাদশাহ শাহরুখ খান থেকে শুরু করে ভাইজানখ্যাত অভিনেতা সালমান খান—বাকি ছিল না কেউ। প্রায় সব বড় বড় তারকার সঙ্গেই তার রসায়ন ছিল দুর্দান্ত। তবু একটা সময় হঠাৎ করেই যেন থমকে যান অভিনেত্রী।
সাফল্যের এই জয়রথ থমকে দাঁড়ায়। প্রায় আট বছর কাজের বাইরে চলে যান তিনি। হঠাৎ করে কোনো পরিচালক-প্রযোজক তার আর খোঁজ করেন না। কাজবিহীন থাকলেন সুস্মিতা সেন। এর পরেই যা করলেন অভিনেত্রী।
যদিও বর্তমানে এ বলিউড ডিভা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে রাজত্ব করছেন। 'আরিয়া' ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে তিনি আবার লাইমলাইটে ফিরে আসেন এবং দর্শকদের কাছে দারুণ প্রশংসিত হন।
এর আগে ২০২৩ সালে মিড-ডে ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকার সম্প্রতি সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই সাক্ষাৎকারে সাবেক বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেন অকপটে সেই কঠিন সময়ের কথা তুলে ধরেন। যেখানে গ্ল্যামারের আড়ালে থাকা সুস্মিতার বাস্তবজীবনের হতাশা আর সংগ্রামের চিত্র ফুটে ওঠে।
সুস্মিতা সেন বলেন, আমার নাম সুস্মিতা সেন। আমি একজন অভিনেত্রী— আগে ছিলাম। আর আমি ফিরে এসে আবার কাজ করতে চাই। আমাকে সাহায্য করতে হবে। কারণ আমি আট বছর কোনো কাজ করিনি— এটা খুবই দীর্ঘ সময়।
অভিনেত্রী বলেন, দীর্ঘ ৮ বছর কোনো নির্মাতা বা কোনো প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে আমার কাছে কাজের কোনো প্রস্তাব আসেনি। আমি নিজেই সাহস সঞ্চয় করে বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম যেমন— নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম, হটস্টারের মতো বড় বড় প্ল্যাটফর্মে ফোন করে কাজ চেয়েছি।
তিনি বলেন, আমি নিজে মানুষকে ফোন করে কাজ চেয়েছি, যাতে তারা বুঝতে পারে আমার কাজের কতটা প্রয়োজন, কতটা খিদে রয়েছে। আমি কাজ করতে চাই, আমি কাজ চাইছি বলে জানান সুস্মিতা সেন।
সেই কঠিন সময় পার করার জন্য সাহস আর ধৈর্যকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সুস্মিতা বলেন, এ সময়টা আমার আত্মবিশ্বাস আর মানসিক শক্তির সবচেয়ে বড় পরীক্ষা ছিল।