বৃহস্পতিবার, 9 অক্টোবর 2025
MENU
daily-fulki

ক্যাচগুলো এবার ছক্কা হবে !

সজোরে হাঁকানো শট, দেখে মনে হয় বড় ছক্কা। কিন্তু সীমানায় ক্যাচ হলেন ব্যাটার। বাংলাদেশ ক্রিকেটে এমন দৃশ্য বেশ পরিচিত। সেই একই শটে কীভাবে ছক্কা মারা যায়, পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উড দিয়েছেন ওই টোটকা। শিখিয়েছেন কীভাবে ভালো টাইমিং করে বল আরেকটু দূরে পাঠানো যায়। যাতে শটটা ছক্কা হয়। ব্যাটারদের মধ্যে হিটার ও টাইমার আলাদা করেছেন উড। কাজ করেছেন স্কিল নিয়ে, যা বাড়িয়েছে ব্যাটারদের মনোবল।
 
‘উড পাওয়ার হিটিংয়ে কিছু স্কিল নিয়ে কাজ করেছেন। শারীরিকভাবে যারা শক্তিশালী, তারা কীভাবে আরও ভালো হিট করতে পারেন, আবার যারা টাইমার (ব্যাটে-বলে ভালো টাইমিং করে শট খেলেন) তারা কীভাবে টাইমিংটা আরও ভালো করতে পারেন, এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছেন।’– সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এভাবেই পাওয়ার হিটিং কোচের কাজের বর্ণনা দেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার জাকের আলী।

উড টাইমিংয়ে উন্নতি আনায় জোর দিয়েছেন। ব্যাটিংয়ে যারা টাইমিংয়ের ওপর নির্ভরশীল, তাদের পাওয়ার হিটার হতে বলেননি। জাকেরের ভাষ্য, ‘কোচ টাইমারদের পাওয়ার হিটিংয়ে উন্নতি করতে বলেননি। টাইমাররা টাইমারই থাকবেন। তারা টাইমিং করে কীভাবে চার-পাঁচ মিটার বেশি দূরে (বল) পাঠাতে পারেন, তা নিয়ে কাজ করেছেন। এটা হলে আগে যেটা ক্যাচ হতো, এখন সেটা ছয় হয়ে যাবে।’

 

উডের ক্লাসে বেসবলে পরিচিত ‘দ্য প্রোভেলোসিটি ব্যাট’ (পিভিবি) দিয়ে ড্রিল করেছেন লিটন দাস, জাকের আলীরা। এই ব্যাটে শট নিলে ব্যক্তির শরীরের নমনীয়তা কেমন, কত জোরে শট নিলেন, ভিন্ন ভিন্ন শব্দে তা বোঝা যায়। একাধিক শব্দ হলে শট খেলতে বেশি শক্তি প্রয়োগের প্রমাণ মেলে। জাকের বলেন, এই শব্দ তুলতে পারায় আলাদা মজা আছে, ‘কারও ব্যাট সুইং বেসবলের মতো, কারও গলফের মতো। কে কোনটা নেবে এটা নির্ভর করে। কোচ বলেছেন, তিনি ভিন্ন কিছু করবেন না, বেসিকের মধ্যে থেকে শেখাতে চেয়েছেন। পিভিবি ব্যাটে যে কটা শব্দ বের করতে বলা হয়, তা বের করতে পারলে ভালো লাগে। সেজন্য অনেক জোর দিতে হয়। এগুলো নিয়মিত করলে অবশ্যই কাজে দেবে।’

কোচ পিভিবি ব্যাট দিয়ে ড্রিল করিয়েছেন। স্কিল ট্রেনিংয়ের পর মাঠে এর প্রয়োগ দেখলেই পাওয়ার হিটিং বা টাইমিং কতটা শেখা হলো, তার প্রমাণ মিলবে। জাকের জানান সিলেটে কাল (মঙ্গলবার) শুরু হওয়া স্কিল ট্রেনিংয়ে উন্নতি টের পাওয়া যাবে না, ‘পরিবর্তনগুলো এত সহজে ম্যাচ ছাড়া বিচার করতে পারবেন না। শুধু দুই-তিন দিন কাজ হলো। প্রায় সব ধরনের স্কিল নিয়ে কাজ হয়েছে। এগুলোই সিলেটে নেটে আমাদের অনুশীলন হবে। উন্নতি নিয়ে এত তাড়াতাড়ি মন্তব্য করা ঠিক হবে না। আরেকটু সময় লাগবে। তবে ড্রিল, ব্যাট সুইং ও অনুশীলন অবশ্যই কাজে আসবে।’

এছাড়া নাথান কেলির ফিটনেস ক্লাসকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন জাকের। তাঁর মতে, সারা বছরই তাদের এমন ফিটনেস ট্রেনিংয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কেলির অধীনে ভিন্ন ভিন্নভাবে ফিটনেস ট্রেনিং করেন তারা, ‘এক বছর ধরেই আমরা এমন কষ্ট করছি। এবার আপনারা কাছ থেকে দেখেছেন, সেজন্য অনেক কষ্ট মনে করছেন। আমরা ভালো করেছি। রিপোর্টে তিনিও খুশি। এখানে কে প্রথম, কে দ্বিতীয়, এটা বিষয় না। কে কতটা চেষ্টা করল এটাই তিনি দেখেছেন।’

 

সর্বাধিক পঠিত