স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী আবু সাদিক কায়েম বলেছেন, দীর্ঘ এক বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের পর অবশেষে সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হতে যাচ্ছে। নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী বাংলাদেশের নেতৃত্ব তৈরি হবে বলে আশাবাদী তারা।
সোমবার (১৮ আগস্ট) মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শেষে প্যানেল ঘোষণা করে সংবাদ সম্মেলনে এ আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সাদিক কায়েম বলেন, আমরা আজকের প্রেস কনফারেন্সের শুরুতে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জুলাই বিপ্লবের সব শহীদকে। যাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আজ আমরা আজাদি পেয়েছি এবং যাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমেই আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, আমরা শহীদদের জন্য দোয়া করছি। একই সঙ্গে আমরা গাজীদের জন্যও দোয়া করছি, যারা এখন হাসপাতালে শয্যাশায়ী হয়ে কাতরাচ্ছেন।
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ এই জুলাই বিপ্লবের অন্যতম আকাঙ্ক্ষা’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এক বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যতগুলো দাবি-দাওয়া উত্থাপন করেছি, তার মধ্যে প্রথম দাবি ছিল ছাত্র সংসদ নির্বাচন। এরইমধ্যে সেই নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এই নেতা বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি, এ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব তৈরি হবে। যেই বিজয়ী হোক, ইসলামী ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে আমরা তাদের স্বাগত জানাব।
সাদিক কায়েম বলেন, আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী আমাদের প্যানেলের প্রতিনিধিত্ব করুক। এরইমধ্যে আমাদের প্যানেলে কারা কারা থাকছেন তা আপনাদের জানা হয়েছে।
তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের সময় আমরা প্রত্যেকে নিজেদের পরিচয় ভুলে গিয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করেছি। সেই জুলাই বিপ্লবের প্রতিফলন আমাদের প্যানেলে আনার চেষ্টা করেছি। এখানে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি স্বাধীন অ্যাকটিভিস্টরা আছেন, চাকমা সম্প্রদায়ের ভাইয়েরাও আছেন, আমাদের বোনেরাও আছেন। আমরা চেয়েছি একটি ইনক্লুসিভ প্যানেল গঠন করতে।
সাদিক বলেন, আমরা আশাবাদী, আমাদের প্যানেল এবং অন্যান্য ছাত্র সংগঠন ও স্বাধীন অ্যাক্টিভিস্টদের প্যানেল মিলিয়ে এ নির্বাচন একটি প্রাণবন্ত নির্বাচনে রূপ নেবে। জুলাই বিপ্লবের যে আকাঙ্ক্ষা ছিল, তার আলোকে আমরা খুব শিগগিরই আমাদের ইশতেহার শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো— জুলাই শহীদদের সেই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করা। তাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল একটি ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গঠন করা। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার আলোকে আমরা নতুনভাবে ক্যাম্পাসকে ঢেলে সাজাতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি, এ কাজ আমরা ইনশাআল্লাহ করতে পারব।