ভিন্নভাবে, ভিন্ন আমেজে পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উডের অধীনে কাজ করেছেন লিটন দাস, জাকের আলী, সৌম্য সরকাররা। কোচের সঙ্গে আনা ‘দ্য প্রোভেলোসিটি ব্যাট’ (পিভিবি) দিয়ে জোরে শট মারার অনুশীলন করেছেন তারা। অনুশীলনের প্রাপ্তি কী, তার বিচার এখনই করতে নারাজ জাতীয় দলের ক্রিকেটার জাকের আলী।
সোমবার মিরপুর স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে জাকের আলী বলেন, ‘তার অধীনে কাজ করা দুই-তিনদিন হলো। সর্বোচ্চ স্কিল নিয়ে কাজ হয়েছে। এগুলো সিলেটে গিয়ে নেটে আমরা অনুশীলন করবো। আরও ভিন্ন কিছু হবে। তবে পরিবর্তনগুলো এতো সহজে ম্যাচ ছাড়া বিচার করতে পারবেন না। কী উন্নতি হলো এতো তাড়াতাড়ি কমেন্ট করা ঠিক হবে না। আরেকটু সময় লাগবে। তবে ব্যাট সুইং, ড্রিল, প্যাকটিসগুলো অবশ্যই কাজে আসবে।’
জাকের জানিয়েছেন, জুলিয়ান উড পাওয়ার জিটিং কোচ হলেও টাইমিংয়ে ওপর জোর দিয়েছেন। টাইমারকে তিনি হিটার হতে বলেননি। বরং বেসিক ঠিক রেখে শট খেলায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছেন, ‘জেনেটিক্যালি যারা ভালো, তারা কীভাবে ভালো হিট করতে পারে। যারা টাইমার তারা কীভাবে ভালো টাইমিং করতে পারে, এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছেন।’
বাংলাদেশের অধিকাংশ ব্যাটার টাইমিং করে বাউন্ডারি মারেন। লিটন দাস কখনো গায়ের জোরে শট খেলেন না। ওপেনার পারভেজ ইমন দীর্ঘদেহি নন, শট খেলতে তাকেও টাইমিংয়ের ওপর নির্ভর করতে হয়। টি-২০ দলের শামীম পাটোয়ারি, তাওহীদ হৃদয়ের জন্যও বিষয়টি প্রযোজ্য।
পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উড তাদের শিখিয়েছেন, কীভাবে ভালো টাইমিং করে শটটা আরও চার-পাঁচ থেকে ছয় মিটার দূরে পাঠানো যায়। যাতে শটটা সীমানায় ক্যাচ নয় ছক্কা হয়। জাকের বলেন, ‘কোচ টাইমারদের পাওয়ার হিটিংয়ে উন্নতি করতে বলেননি। টাইমাররা টাইমার-ই থাকবে। তারা টাইমিং করে কীভাবে বল চার-পাঁচ মিটার দূরে পাঠাতে পারে, যাতে ক্যাচটা ছয় হয়, এসব শিখিয়েছেন।’