ফুলকি ডেস্ক : মাদারীপুরে চোর সন্দেহে তিনজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। এ সময় একজনের দু’চোখ ক্ষতিগ্রস্ত করে চোখ উৎপাটনের চেষ্টা করে বিক্ষুব্ধরা। শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম মাঠ বাঘাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গণপিটুনির শিকাররা হলেন- পশ্চিম মাঠ বাঘাবাড়ি এলাকার ওয়াজেদ শেখের ছেলে জাকির শেখ (৫০), একই এলাকার আলতাব মাতুব্বরের ছেলে ইস্রাফিল মাতুব্বর (৪০) ও শ্রীনদী রায়েরকান্দি গ্রামের সিরাজ শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার (২৫)। এদের মধ্যে গুরুতর আহত জাকির শেখকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, চুরি-ডাকাতি রোধে সদরের ‘পশ্চিম মাঠ বাঘাবাড়ি’ এলাকায় নিয়মিত পাহারার অংশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন স্থানীয় যুব সমাজ। শনিবার মধ্যরাতে ওই এলাকায় তিন জনের রহস্যজনক চলাফেরা দেখতে পেয়ে ধাওয়া দেন পাহারাদাররা। পরে ওই তিন জনকে ধরে গণপিটুনি দেওয়া হয়। এ সময় জাকির শেখ নামে এক ব্যক্তির দু’চোখ উৎপাটনের চেষ্টা করেন বিক্ষুব্ধরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনকে হেফাজতে নেয় সদরের শ্রীনদী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক বেল্লাল হোসেন ও তার সঙ্গীয় সদস্যরা। পরে আটকদের পাঠানো হয় সদর মডেল থানায়। তাদের মধ্যে গুরুতর জাকির শেখকে প্রথমে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেলে। বাকি দুইজন রয়েছেন সদর মডেল থানা পুলিশের হেফাজতে।
জাকির শেখের স্বজন রেজাউল করিম সমকালকে বলেন, ‘এক এলাকা থেকে একজন মানুষ অন্য এলাকায় যেতেই পারে। তাই বলে কি তাকে মারধর করতে হবে। দেশে পুলিশ প্রশাসন আছে, তাদের কাছে দিতে পারতো। এছাড়া দুটি চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। চোখ দুটি হয়তো রক্ষা পাবে না। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।’
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আদিল হোসেন বলেন, ‘আটক দুইজন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এছাড়া একজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়েছেন চিকিৎসক। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। দোষিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’