ফুলকি ডেস্ক : পটুয়াখালীতে এক সাংবাদিককে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন জেলা মহিলা দলের নেত্রী আফরোজা সীমা। এ নিয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি গত শুক্রবার পটুয়াখালী শেরেবাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে ঘটলেও ভিডিওটি গতকাল রোববার রাতে ভাইরাল হয়। ওইদিন কয়েকজন শিক্ষকের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকে আফরোজা সীমা ও এশিয়ান টিভির অনলাইন প্রতিনিধি রাকিবুল ইসলাম তনুর মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে শোনা যায়, ‘ঘেডি নোয়াইয়া কেউন্নামু, তুমি ই-দেহাইতেছো খানকিরপো। আজীবন বড় হইছো বস্তিতে, থাইক্যা ই-দেহাইতেছো খানকিরপো। তোর সাংবাদিক কেউন্নাইয়্যা এক্কেবারে হোয়াইয়া দিমু। তোরে এইহানে বাইন্দা পিটাইলে কোনো সাংবাদিক আইবে না আমার ধার।’
এ ব্যাপারে জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ও শেরেবাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আফরোজা সীমা বলেন, ‘আমি শেরেবাংলা বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি। স্কুলের নৈশ প্রহরীর ছেলে এই স্কুলের এক মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনাটি নিয়ে বিদ্যালয়ের মধ্যে ঘরোয়া বিচার চলছিল। ওই সময় তনু নামে এক যুবকের সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওই সাংবাদিক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান টোটনকে ফোনে ধরিয়ে দেন। তখন তাকে জিজ্ঞেস করি তুমি কে? তিনি বলেন আমি সাংবাদিক। তখন একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে এসব কথা বলি। আমি পুলিশে দেওয়ার কথা বললে, তিনি হাত-পা ধরে ক্ষমা চান। এরপরও তিনি লুকিয়ে ভিডিও রেকর্ড করে এবং তা রোববার ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন।’
সাংবাদিক রাকিবুল ইসলাম তনু বলেন, ‘এই স্কুলের নৈশপ্রহরীর ছেলের সঙ্গে স্কুলেরই এক ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল দীর্ঘদিন এবং তারা ছেলে-মেয়ে চলে যায়। পরে স্কুলের সভাপতি ও জেলা মহিলাদলের সভানেত্রী আফরোজা সীমা আপা আমাদের স্কুলে ডাকেন। আমরা তার কাছে গেলে তিনি খারাপ আচারণ করতে থাকেন এবং বলেন, তুই কিসের সাংবাদিক। তখন আমি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে ফোনে ধরিয়ে দেই। তার সঙ্গে কথা বলে ফোনটা রেখে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেন। বিষয়টি আমি প্রেসক্লাব নেতাদের জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে শেরেবাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাহিমা মিমি জানান, স্কুলের নৈশপ্রহরী শহিদুল ইসলামকে শোকজ করা হয়েছে এবং শোকজের জবারের পর তার বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।