সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি : ডিগবাজি দেওয়ার চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে দুই ভাই পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। আটককৃতরা হচ্ছে -ইয়াবা হুমায়ুন (৪০) ও তার ছোট ভাই স্থানীয় ধল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মিজান মেম্বার (৩৮)। তারা মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ধল্লা গান্দারদিয়া গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিন গাদুর ছেলে।
রবিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে অভিযান চালিয়ে সদর থানার ডেফলতলী এলাকায় থেকে সিংগাইর থানা পুলিশ তাদেরকে আটক করেন বলে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জেওএম তৌফিক আজম নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, ইয়াবা হুমায়ুন ধল্লা পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সাথে জড়িত। অপরদিকে তার ছোট ভাই মিজান মেম্বার সিংগাইর পৌর সদরের আড্ডা ক্যাফের সামনে সংঘটিত বিস্ফোরণ দ্রব্য মামলার এজাহারভুক্ত মামলার আসামি। এছাড়াও দুই ভাই থানা পুলিশ ওপর হামলার ঘটনায় মামলার চার্জসীটভুক্ত আসামি।
পুলিশ আরো জানায়, ইয়াবা হুমায়ন ও তার ছোট ভাই মিজান মেম্বার গত ১৫ এপ্রিল সকাল পৌনে ১০টায় সিংগাইর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক ভোরের কাগজ প্রতিনিধি ও দৈনিক ফুলকির স্টাফ রিপোর্টার মাসুম বাদশাহ ওপর হামলা করে। সাংবাদিক বাদি হয়ে দায়ে করা মামলাটিও তদন্তাধীন। অন্যদিকে, চাঞ্চল্যকর গোবিন্দল গ্রামের ফোরমাডার পিটিশন মামলায় মিজান মেম্বারের নাম রয়েছে বলে থানার ওসি জেওএম তৌফিক আজম জানিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ইয়াবা হুমায়ুন ও মিজান মেম্বারের বড় বোন সালেহা জাহান জেলা আওয়ামী যুব মহিলা লীগের নেত্রী। আওয়ামী লীগ সরকার আমলে তারা সাবেক সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজের সন্তান পরিচয় দিয়ে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম লিপ্ত ছিল। আওয়ামী লীগের ১৭ বছর শাসনামলে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নেওয়ার পর পাঁচ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর তারা ডিগবাজি দিয়ে বিএনপিতে যাওয়ার চেষ্টা করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা কর্মীদের হতে লাঞ্ছিত হন মিজান মেম্বার। অন্যদিকে ইয়াবা হুমায়ুন বিএনপির রাজনীতিতে সরব হওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। স্থানীয় এক বিএনপি নেতার সেল্টারে নিয়ে বিভিন্ন সভা সমাবেশে চেষ্টা করে বিতর্কিত এই পরিবারটি। তবে বিএনপি’র দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, কোনভাবেই দালালদের দলে স্থান দেয়া হবে না।