স্টাফ রিপোর্টার : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সচিবালয়ের ভেতরে থেকে যে সব সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারি বিধি বিধান ভঙ্গ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যারা ফ্যাসিবাদের হাতকে শক্তিশালী করেছিলেন তাদেরকে রেহাই দেয়া হবে না। তাদের শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে।
এ ফ্যাসিবাদ যাতে আর কোনদিন প্রতিষ্ঠা না পায় সে লক্ষ্যে সরকার যা যা দরকার সেই কাজগুলো করছে। তবে আমরা অন্যায় কিছু করছি না। এখনও যারা ফ্যাসিবাদকে সহযোগিতা করছেন বলে যে অভিযোগ ওঠেছে তা ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে সেটা হবে ইতিহাসের সবচেয়ে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য অবাধ নির্বাচন। জাতিকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে কাজ চলছে। রোববার, (১০ আগস্ট) দুপুরে সাভারের বিরুলিয়ার খাগান এলাকায় মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লব ২০২৪-এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত পক্ষকালব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের সমাপনি অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে তিনি বক্তব্য রাখেন এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবারে এ সব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসময় আরও বলেন, ঐতিহাসিক জুলাই আন্দোলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অংশগ্রহণ ছিল এক নম্বরে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মেয়েরা জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। যা বাংলার অতীত ইতিহাসে দেখা যায়নি। যত প্রাণ ঝড়েছে তার প্রত্যেকটি খুনের বিচার করা হবে। একটাও বাদ যাবে না। মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র শাকিল হোসেন পারভেজ ও আহনাফ আবির আশরাফুল্লাহ হত্যাকান্ডেরও বিচার হবে। আমরা তাড়াহুড়া করছি না। আমরা ক্যাঙ্গারু কোর্ট চাই না। ২০২৬ সালের নির্বাচনে সবাই যার যার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই।
তিনি আরও বলেন, জুলাই হত্যাকান্ডের সকল আসামীদের বিচার করা হবে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য। বিচারটা একটু দেরিতে হচ্ছে। কিন্তু সঠিক সময়ে তাদের বিচার কাজ সম্পন্ন করা হবে। জুলাই যোদ্ধাদের কারণে এক নায়কতন্ত্রণের পতন হয়েছে। জুলাই হত্যাকান্ড নিয়ে জাতিসংঘ সঠিক তদন্ত করেছে।
এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র শহীদ শাকিল হোসেন পারভেজ ও আহনাফ আবির আশরাফুল্লাহর নামে চত্বর ও লাইব্রেরি উদ্বোধন, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের াের্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব মোহাম্মদ ফজলুর রহমান। অনেকের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুর রব, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. মতিউর রহমান আকন্দ, বিশিষ্ট অ্যাকটিভিস্ট ও শীর্ষ জুলাই যোদ্ধা আবু সদিক কায়েম।