ফুলকি ডেস্ক : গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে শরীয়তপুরে জেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠানে পিয়নের মাধ্যমে জুলাইযোদ্ধাদের মধ্যে ফুল ও উপহারসামগ্রী বিতরণের ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন জুলাইযোদ্ধারা। তারা বলছেন, জেলা প্রশাসনের এই আচরণ শুধু অপমানজনক নয়, এক ধরনের অবমূল্যায়নও।
মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শরীয়তপুর পৌর মিলনায়তনে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহত জুলাইযোদ্ধাদের সম্মানে আলোচনা সভা এবং সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক তাহসিনা বেগম।
সঞ্চালনায় ছিলেন সদর উপজেলার ইউএনও ইলোরা ইয়াসমিন। প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. রেহান উদ্দিনসহ অন্য কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে ১৪ জন শহীদের পরিবারের হাতে ফুল ও সম্মাননা তুলে দেন অতিথিরা। কিন্তু ৮৩ জন আহত যোদ্ধার হাতে উপহার এবং ফুল পৌঁছে দেওয়া হয় একজন পিয়নের মাধ্যমে।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জুলাই ওয়ারিয়র্স জেলা শাখার সদস্য সচিব ও আহত যোদ্ধা আব্দুর রহমান ডালিম বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম, জেলা প্রশাসক নিজে আমাদের হাতে ফুল তুলে দেবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখলাম, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একজন পিয়ন আমাদের ফুল দিল। এতে আমরা অপমানবোধ করেছি।’
আহত নারী যোদ্ধা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘একই সংগ্রামে আমরা লড়েছি। শহীদ পরিবারের হাতে ডিসি যখন নিজে উপহার দেন, আমাদের ক্ষেত্রে একজন কর্মচারী কেন? এটা তো সরাসরি বৈষম্য।’
আরেক নারী যোদ্ধা ফাতেমা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমাদের উপহার পিয়নের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। এমনকি কেউ কেউ ফুল হাতেও নেননি, সামনে ফেলে দিয়েছেন। এটা একটা জুলুম। এর আগেও জুলাইকন্যাদের উপহার দেওয়া হয়েছিল পিয়নের মাধ্যমে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক তাহসিনা বেগম বলেন, ফুল ও উপহার এনডিসির নেতৃত্বে দেওয়া হয়েছে। আমি নিজেও সেখানে ছিলাম। কেউ যদি অভিযোগ করে, সেটি সত্য নয়।