স্টাফ রিপোর্টার : সাভারের আশুলিয়ার সন্তান জুলাই যোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম সরকার। আন্দোলনে অংশ নিয়ে মৃত্যুর দরজা থেকে ফিরে এসেছেন তিনি। আন্দোলন সংগ্রামের দিনগুলোতে হাসিনার পদত্যাগ দাবি নিয়ে প্রতিদিন সকালে খেয়ে না খেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতেন। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নির্যাতন ও পুলিশের ছড়রা গুলি খেয়েছেন একাধিক দিন। কিন্ত পিছ পা হননি কখনও। মিছিলের অগ্রভাবে থেকেছেন সর্বদা। তিনি দৃঢ় ভাবে পণ করেছিলেন মাতৃভ’মিতে হয় হাসিনার পদত্যাগ নয় মৃত্যু নয়।
আন্দোলনের ফসল ঘরে না নিয়ে ফিরে যাব না। ঠিক তাই হয়েছে কঠোর আন্দোলনের ফলে এবং পরিস্থিতির কারনে হাসিনা শুধু পদত্যাগই নয় দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। একজন ছাত্র সিরাজ সরকার জানান তিনি যা চেয়েছিলেন পেয়েছেন তার চেয়ে অনেক বেশী। তিনি সমাজের গর্ব কারন তিনি একজন জুলাই যোদ্ধা।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটির ছাত্র সিরাজুল ইসলাম সরকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকে শেষ পযন্ত মাঠে ছিলেন। এ আন্দোলন তার সাথে তার দুই কন্যা অংশ গ্রহন করেন। তারা উওরার মাইলস্টোন স্কুল এ্যান্ড কলেজের ছাএী। উত্তরাতে প্রতিদিনই মিছিলে অংশ নেন সিরাজুল ইসলাম ও তার কন্যরা। তাদের একটাই দাবি ছিল খুনি হাসিনার পদত্যাগ। আন্দোলনের এক পর্যায়ে ৪ আগষ্ট উত্তরায় মিছিল চলাকালীন আকস্মিক পুলিশ বিনা কারনে তাদের লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো গুলি ছুড়তে থাকে। গুলিবিদ্ধ হয়ে তার সামনে নিহত হন আন্দোলনে অংশ নেয়া ৩ ছাত্র জনতা। এ ঘটনায় আহত হয় অর্ধশতাধিক। এ দিন সিরাজুল ইসলাম সরকার গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।
তিনি দীর্ঘ সময় অচেতন অবস্থায় রাস্তায় পরে থাকেন। পরে আশেপাশের আন্দোলনকারী ছাত্র জনতা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা সেবা গ্রহন করার পর সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেন। সেই দিনটি সম্পর্কে সিরাজুল ইসলাম বলেন মৃত্যুর দরজা থেকে ফিরিয়ে এনে সেদিন আল্লাহ তায়ালা আমাকে নতুন জীবন ফিরিয়ে দিয়েছেন। কারন আমার সামনে পেছনে গুলি বিদ্ধ হয়ে ৩ জন নিহত হয়েছেন। তাদের লাশ আমার পাশেই পড়েছিল।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,জুলাই আন্দোলনের ফসল ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পলায়ন। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসরা রয়ে গেছে এ দেশের আনাছে কানাছে। তাদের সম্পর্কে সবাইকে সজাগ থাকতে। তিনি অবিলম্ভে জুলাই আন্দোলনে নির্মম ভাবে সকল হতাহতের ঘটনায় সরকারের নিকট বিশেষ আদালত গঠন করে দায়ীদের দ্রুত বিচার সম্পন্ন করার দাবি জানান।