স্টাফ রিপোর্টার : সাভারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী শাইখ আসহাবুল ইয়ামিনকে পুলিশের সাঁজোয়া যান (এপিসি) থেকে ফেলে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ আলীকে (৩১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৩ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেন
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম।
এরআগে ভোরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার মোহাম্মদ আলী (বিপি-৯৪১৩১৭০৮৪৬) কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের কালাইহাতি গ্রামের মৃত মুনসুর আলীর ছেলে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে পলাতক মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আইসিটি (বিডি কেস নং-১৪/২৫) দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল।
২০২৪ সালের ১৮ জুলাই সাভারে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় এপিসি থেকে ফেলে দেওয়ার পর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিহত হন শাইখ আসহাবুল ইয়ামিন। ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।
ইয়ামিন রাজধানীর মিরপুরের মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। থাকতেন এমআইএসটির ওসমানী হলে। তার বাড়ি সাভারের ব্যাংক টাউন আবাসিক এলাকায়।
পুলিশ জানায়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
থাকায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত হওয়ায় তাকে কো-অর্ডিনেটর, তদন্ত সংস্থা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির জানান, ইয়ামিন হত্যাকাণ্ডের একটি মামলায়
তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে কো-অর্ডিনেটর, তদন্ত সংস্থা, আন্তর্জাতিক
অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।