সোমবার, 4 আগস্ট 2025
MENU
daily-fulki

রিকশা শোভাযাত্রায় প্রতিরোধের প্রতিচ্ছবি

ফুলকি ডেস্ক : ঢাকার রাজপথে আজ রোববার বিকেলে দেখা গেল এক অনন্য দৃশ্য। গানের শব্দে মুখর, রঙে রাঙানো, প্রতিবাদের ভাষায় সজ্জিত প্রায় ৩০০ রিকশা রাজধানীর ব্যস্ত সড়ক ধরে এগিয়ে চলেছে। এটি শুধু শোভাযাত্রা ছিল না, ছিল প্রতিরোধের প্রতিচ্ছবি। শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত এই শোভাযাত্রা ‘জুলাই পুনর্জাগরণ ২০২৫’ উৎসবের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়।

আজ বিকেল তিনটায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয় এই শোভাযাত্রা। এগুলোর প্রতিটি ছিল একেকটি চলমান ক্যানভাস। জুলাই ২০২৪-এর গণআন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গড়ে ওঠা গ্রাফিতির রঙে সেজে উঠেছিল রিকশাগুলো।

 

জুলাই শহীদ সোহেলের মা রহিমা বেগম শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন। তার চোখে ছিল কৃতজ্ঞতার জল, পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়াছের।

রিকশাগুলো শিল্পকলা একাডেমি থেকে কাকরাইল, শান্তিনগর, মৌচাক, মালিবাগ, রামপুরা, হাতিরঝিল, মধুবাগ, মগবাজার হয়ে আবার একাডেমিতে ফিরে আসে। প্রতিটি রিকশা থেকে ভেসে আসে দেশাত্মবোধক গান, কখনও জুলাই নিয়ে তৈরী গান।

রিকশাগুলোর পেছনে শোভা পায় প্ল্যাকার্ড, শিল্পকর্ম, রঙিন পতাকা এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী গামছা। রিকশাচালকের গায়ে জড়ানো ছিল রঙিন টি-শার্ট, মাথায় ক্যাপ।

গ্রাফিতি একসময় ছিল দেয়ালে দেয়ালে। এবার সেই চিত্র উঠে এল রিকশার পেছনে, ঢেউ খেলানো টিনে, কখনও বাঁশের ছায়াঘেরা ছাউনি জুড়ে। মতিঝিল, কমলাপুর, রামপুরা, কারওয়ান বাজার, জিপিও, খিলগাঁও এই ছয়টি প্রান্ত থেকে রিকশাগুলো ছুটে আসে শিল্পকলা একাডেমির দিকে। প্রত্যেকটি রুটে ছিল নিজস্ব মিছিল, নিজস্ব চিৎকার। শিল্প হয়ে ওঠে পথের ভাষা। প্রতিটি রিকশার গায়ে আঁকা ছিল কোনো না কোনো প্রতিবাদী বার্তা।

মনোজ্ঞ এ আয়োজনে  উপস্থিত ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রদ্যোত কুমার দাস, প্রশিক্ষণ বিভাগের কোর্স কো-অর্ডিনেটর বেগম কামরুন নাহার, নাট্যকলা বিভাগের সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর ড. আইরিন পারভীন লোপাসহ আরও অনেকে।

সর্বাধিক পঠিত