শুক্রবার, 1 আগস্ট 2025
MENU
daily-fulki

অনিয়ন্ত্রিত ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বোঝা কঠিন, সতর্ক হতে সাহায্য করবে দেহের ৫ লক্ষণ

ফুুলকি ডেস্ক : দেহে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে অনেক সময়েই গুরুত্ব দেওয়া হয় না। তার পর পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে, তখন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হয়। এখন অল্পবয়সিদের মধ্যেও ইউরিক অ্যাসিড সংক্রান্ত সমস্যা দেখা যায়।

 

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে একজন প্রাপ্তবয়স্কের দেহে ৩.৪ থেকে ৭ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে আদর্শ বলে ধরা হয়। তবে এ ক্ষেত্রে ৬-এর পর থেকে চিকিৎসকেরা ব্যক্তিকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। প্রয়োজনে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে তাঁকে ওষুধও খেতে হত পারে।

 

কী কী সমস্যা

দেহে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে অস্থিসন্ধিতে যন্ত্রণা শুরু হয়। দীর্ঘকালীন়়এমন ঘটনায় কিডনিতে পাথর হতে পারে। এমনকি কিডনির কর্মক্ষমতাও কমে যেতে পারে। তাই সময়ে সতর্ক হওয়া উচিত।

কী কী লক্ষণ

১) দেহে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে ব্যথা শুরু হতে পারে। এদের মধ্যে হাঁটু এবং গোড়ালি অন্যতম। রাতের দিকে এই ব্যথা বাড়তে পারে।

২) কোনও কোনও ক্ষেত্রে ইউরিক অ্যাসিডের ফলে হাতের আঙুল,হাঁটু বা কুনুই ফুলে লাল হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে ব্যথা নাও হতে পারে। তাই শরীরে হঠাৎ করে কোনও ফোলাভাব লক্ষ্য করলে সাবধান হওয়া উচিত।

৩) ঘন ঘন মূত্রত্যাগের বেগ বা মূত্রের বর্ণের পরিবর্তন ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিতে পারে। ইউরিক অ্যাসিড বেশি হলে, অনেক সময়ে মূত্রের সঙ্গে রক্তপাতও হতে পারে।

৪) ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি হলে অনেক সময়ে পেশি তার নমনীয়তা হারায়। ফলে পেশি শক্ত হয়ে দেহে ব্যথা হতে পারে। তাই ঘন ঘন পিঠ বা কোমরের ব্যথা হলে সাবধান হওয়া উচিত।

৫) কোনও কোনও ক্ষেত্রে ইউরিক অ্যাসিডের জন্য ত্বক খসখস হয়ে যায়। ঘন ঘন মুখের চারপাশ এবং কনুই বা হাঁটু থেকে খোসা উঠতে পারে।

সর্বাধিক পঠিত