অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি২০ সিরিজের প্রথম দুটি হবে জ্যামাইকার স্যাবাইনা পার্কে। সেই ম্যাচ দুটি খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিচ্ছেন আন্দ্রে রাসেল; যার প্রথমটি বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোর ৬টায় শুরু হবে। ঘরের মাঠে বিদায় নিতে পারছেন বলে দারুণ আপ্লুত রাসেল।
জাতীয় দলকে বিদায় জানানোর জন্য স্যাবাইনা পার্ককে আদর্শ মাঠ হিসেবে দেখছেন ৩৭ বছর বয়সী এ পেস অলরাউন্ডার, ‘আমার মতে, আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ করার জন্য এটি আদর্শ মাঠ এবং আদর্শ সিরিজ– অস্ট্রেলিয়ার মতো একটি ভালো দলের বিপক্ষে খেলা। ইন্টারনেটে অনেক বিষয় দেখে, সত্যিই আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েছি। সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে হয়ে গেছে এবং আমার মনে হয় আমি যথেষ্ট ভালো করেছি। এখন বলতে পারি, হ্যাঁ, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমি এই পর্যন্তই।’
ঘরের মাঠ নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ছেলেবেলায় প্রথম আমি যখন স্যাবাইনা পার্কে এসেছিলাম, এরপর ঘাসের ওপর হাঁটা, আবহ অনুভব করা, স্ট্যান্ডের দিকে তাকানো, সবকিছু দেখা এবং এখন... গত কয়েক বছরে ক্রিকেট থেকে আমি অনেক কিছু অর্জন করেছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিনিধিত্ব করার যত সুযোগ পেয়েছি, নিজের সেরিটা দিয়েছি।’
দুটি বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছেন সময়ের অন্যতম সেরা এ টি২০ ক্রিকেটার। উপহার দিয়েছেন অনেক স্মরণীয় ইনিংস। উইন্ডিজের হয়ে ১৪১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের মধ্যে গর্বের মুহূর্ত বাছতে গিয়ে ২০১৬ টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ২০ বলে অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংসটির কথা বলেছেন রাসেল। সেদিন মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারতের ১৯৩ রান তাড়া করতে গিয়ে পাঁচ নাম্বারে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন তিনি। তখন উইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৪১ বলে ৭৭ রান। শেষ ওভারে বিরাট কোহলিকে ছয়-চার মেরে ২ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করেন রাসেল।
বিদায় বেলায় ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের (সিডব্লিওআই) সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সেই স্মৃতি স্মরণ করেন রাসেল, ‘অবশ্যই (আমার সেরা মুহূর্ত ছিল) ২০১৬ বিশ্বকাপ। ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনাল খেলা, যেখানে আমি ও লেন্ডল সিমন্স দলকে জয়ের ঠিকানায় নিয়ে গিয়েছিলাম। অবশ্যই অন্য ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে আমরা ভালো শুরু পেয়েছিলাম।’
চাপের কারণে সেই ম্যাচটা গর্বের ছিল বলে জানান তিনি, ‘ভারতের মাটিতে ১৯০-এর বেশি রান তাড়া করা, যেখানে দর্শকরা কেবল ভারতকে সমর্থন করছিল, তাই পরিস্থিতি কিছুটা চাপের ছিল। তবে উইকেট ভালো ছিল এবং চেঞ্জিংরুমে আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল।’