বুধবার, 30 জুলাই 2025
MENU
daily-fulki

বিপিএল দিয়ে তাদের মিরপুর চেনা

টিম হোটেলের জানালা থেকেই দু’দিন বৃষ্টিভেজা ঢাকা দেখেছেন তারা। বিশ্রামের মাঝেই সময় বের করে নিয়েছেন জিম-সুইমিংয়ের। অবশেষে গতকাল কিটস খুলে ব্যাট-বল বের করেছে পাকিস্তান দল। বিকেলে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গিয়ে অনুশীলনও করেছেন সালমান আগারা। 

পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আগার কাছে এই মাঠ হয়তো নতুন, তাই এখানকার পিচ নিয়েও তাঁর আগ্রহ বেশ। তবে তাঁরই দলের অন্যদের কাছে কিন্তু মিরপুর একেবারে অচেনা নয়। দলের অন্তত ৯ ক্রিকেটার কোনো না কোনো সময়ে এখানে এসে বিপিএল খেলে গেছেন। সর্বশেষ আসরেই ফাহিম আশরাফ, মোহাম্মদ হারিসসহ অন্তত পাঁচ ক্রিকেটার পারফর্ম করে মিরপুর মাতিয়ে গেছেন। 

 

এ কথা জানা আছে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাসেরও। কলম্বো থাকতেই সে কথা তিনি স্বদেশি সাংবাদিকদের কাছে খুলে বলেছেন। ‘পাকিস্তান দলের ইতিবাচক দিক হলো, তাদের বেশির ভাগ ক্রিকেটারই আমাদের বিপিএল খেলে, তারা মিরপুরের কন্ডিশন ভালোভাবেই জানেন।’

চার বছর আগে বাংলাদেশে আসা পাকিস্তান দলটির মাত্র দু’জন– খুশদিল শাহ আর ফখর জামান এবারের স্কোয়াডে রয়েছেন। বাংলাদেশ স্কোয়াডেরও মাত্র চার ক্রিকেটার– নাঈম শেখ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল আর মুস্তাফিজ খেলছেন এবার। কাল থেকে শুরু হওয়া এবারের সিরিজটা তাই দু’দলের জন্যই অনেকটা নতুন কন্ডিশনে নতুন মেজাজে শুরু হতে যাচ্ছে। 

মিরপুরের পিচে সেবার ১২৭, ১০৮ আর সাকল্যে ১২৪ রানের ইনিংস খেলতে পেরেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। যার সবই সহজে জিতে নেয় তখনকার বাবার–রিজওয়ানদের পাকিস্তান। এবার মিরপুরকে চিনতে পাকিস্তান দলের অন্যতম ভরসা হতে যাচ্ছেন ফাহিম আশরাফ। 

এ বছর বিপিএল খেলে যাওয়া পাকিস্তান ক্রিকেটার : ফাহিম আশরাফ ( বরিশাল), খুশদিল শাহ (রংপুর)  মোহাম্মদ হারিস (রাজশাহী), মোহাম্মদ নেওয়াজ (খুলনা), হুসেইন তালাত (চট্টগ্রাম)।

এ বছরের শুরুতে বিপিএলে তিনি চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন। বল হাতে ওভারপ্রতি ৭.১২ রান দিয়ে ১১ ম্যাচে উইকেট শিকার করেছিলেন ২০টি। ব্যাট হাতেও ২৩১.৮১ স্ট্রাইকরেটে ঝড় তুলে ১০২ রান করেছিলেন। মিরপুরকে এবারের বিপিএলে দারুণভাবে চিনে নিয়েছিলেন রংপুর রাইডার্সের অলরাউন্ডার খুশদিল শাহও। ১০ ম্যাচ খেলে বাঁহাতি এই স্পিনার ১৭ উইকেট শিকার করেছিলেন ওভারপ্রতি মাত্র ৬.০৩ রান দিয়ে। ব্যাট হাতেও ২৯৮ রান করেছিলেন ১৭৫.২৯ স্ট্রাইকরেটে। 

এ ছাড়া রাজশাহীর হয়ে মোহাম্মদ হারিস ১৩৮ রান, খুলনার হয়ে মোহাম্মদ নেওয়াজ ৮৯ রান করেছিলেন। মাত্র তিন ম্যাচ চট্টগ্রামের হয়ে খেলে হুসেইন তালাতাও ১৪৪.৮২ স্ট্রাইকরেটে ৪২ রান করে গিয়েছিলেন।

বিপিএলের সর্বশেষ আসর খেলতে না পারলেও মিরপুরের কন্ডিশন আগের আসরগুলোতে চিনে রেখেছেন পাকিস্তানি লেগ স্পিনার আবরার আহমেদ। কুমিল্লার হয়ে খেলে গিয়েছিলেন তিনি। ফখর জামান এবার না এলেও ফরচুন বরিশালের পুরোনো মুখ। পাকিস্তান পেসার আব্বাস আফ্রিদিও বরিশালের হয়ে বিপিএলের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। 

পাকিস্তান ওপেনার সাইম আইয়ুব এর আগে ঢাকা ও রংপুরের হয়ে তিনটি আসরে অংশগ্রহণ করেছিলেন। গতকাল মিরপুরে অনুশীলনে আসা পাকিস্তান দলটির মাত্র ছয়জনের কখনোই বিপিএল খেলা হয়নি। অধিনায়ক সালমান আগার সঙ্গে এই তালিকায় রয়েছেন আহমেদ ড্যানিয়েল, যিনি আবার বিগব্যাশের পরিচিত মুখ। পাকিস্তানের এই মুহূর্তে বিধ্বংসী হার্ডহিটার সাহেবজাদাও কখনও মিরপুরের বাইশ গজে নিজের পরীক্ষা নিতে পারেননি। 

পেসার সালমান মির্জার এবার ঢাকার হয়ে খেলার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আসা হয়নি। স্পিনার সুফিয়ান মুকিমেরও বিপিএলের উত্তাপ নেওয়া হয়নি। তবে এদের প্রত্যেকেই কিন্তু এবার পিএসএলের পারফর্মার। পাকিস্তানের ঘরোয়া ফ্রাঞ্চাইজিতে দুর্দান্ত সব পারফর্ম করে স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছেন। তাই পাকিস্তানের এই দলটি অপেক্ষাকৃত নতুন হলেও একেবারে অচেনা নয় বাংলাদেশে।


News Writer

SB

সর্বাধিক পঠিত