Home ২য় লীড ১০৫ বার তদন্ত প্রতিবেদন পেছানো দৃষ্টান্তহীন রেকর্ড: রিজভী

১০৫ বার তদন্ত প্রতিবেদন পেছানো দৃষ্টান্তহীন রেকর্ড: রিজভী

0

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের বহুমাত্রিক বিশ্ব রেকর্ডের মাঝে সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা মামলায় ১০৫ বার তদন্ত প্রতিবেদন পেছানোও দৃষ্টান্তহীন আরেকটি নতুন বিশ্ব রেকর্ড বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার সকালে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের এক যুগ পূর্ণ হলো গতকাল। এটি অত্যন্ত পীড়াদায়ক যে, এক যুগেও এই বহুল আলোচিত হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত তদন্ত করেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রহস্যজনকভাবে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে প্রকৃত তদন্তের বিষয়টি। হত্যার পর সাগর-রুনির খুনিরা বাসা থেকে ল্যাপটপ নিয়ে যায়, অথচ সেই ল্যাপটপ ১২ বছরেও উদ্ধার হয়নি। ঠিক যেমন উন্মোচন হয়নি, সেই ল্যাপটপে কী গোপনীয় বিষয় ছিল, তার কোনো তথ্য।

গত ১২ বছরে নৃশংস্ব এই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ার কারণ হয়তো এই যে, সাগর-রুনি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় এমন কিছু তথ্য-প্রমাণ উঠে এসেছিলো, এবং তারা এমন কিছু বিষয় জেনে ফেলেছিলেন যা ক্ষমতাসীনদের জন্য অতান্ত স্পর্শকাতর ও হুমকিস্বরূপ। যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত ছিল সাগর-রুনির সাংবাদিকতার অন্যতম বিষয়, যে খাত থেকে রাষ্ট্রীয় মদদে লক্ষ-লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। সেই খাতের লুটপাট তথা নেপথ্যেও কুশীলবদের সাথে এই হত্যা ও বিচারহীনতার সম্পর্ক থাকা অস্বাভাবিক নয়।

তিনি বলেন, আইন ও সালিশ কেন্দ্র ২০২২ সালে জানায়, বাংলাদেশ জুড়ে প্রায়ই হত্যা, গুম, খুন ও অপহরণসহ সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। ১০ বছরে এই ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছেন ৩০ সাংবাদিক। যার বিচার আজও হয়নি। গত ১৫ বছরে, সাংবাদিক হয়রানি ও নির্যাতনের যে ৪ হাজারটিরও বেশি ঘটনা ঘটেছে, এর প্রায় প্রতিটির সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের টেন্ডারবাজ, তদবিরবাজ ও দুর্নীতিবাজ নেতা-কর্মীরা জড়িত বলে প্রতীয়মান।

গণমাধ্যমের তথ্যমতে এই সরকারের আমলে ৫৯ জন সাংবাদিক হত্যা হয়েছে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২৫০ এর অধিক সাংবাদিক চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version