নতুন বছর আসতেই মনে মনে নানা পরিকল্পনা করেন কমবেশি সবাই। জীবন বদলে ফেলার অঙ্গীকার করেন অনেকেই। তবে শেষ অবধি তা কি আদৌ পূর্ণ হয়? আসলে বছরভর নানা সমস্যার সঙ্গে লড়তে গিয়ে সেই একই ছবি ফিরে ফিরে আসে শেষ পর্যন্ত।
তবু হাল ছাড়া উচিত নয় কারও। চেষ্টা করুন, আর নিজের ভুলগুলো শুধরে নিন। সারাবছর পথ চলতে গিয়ে কত রকমই না সমস্যায় পড়তে হয়। তবে জীবনযাপনে একটু সংযত হলে খুব সহজেই ভালোভাবে জীবন কাটাতে পারবেন। জেনে নিন কোন ভুলগুলো শুধরে নিলে বছর ভালো কাটবে-
কোনো কাজ ফেলে রাখবেন না
পরের দিন সকালে উঠে আপনি কী কী করবেন, সেই প্ল্যান করে রাখুন আগের রাতেই। এজন্য একটি ডায়েরিতে লিখে রাখুন। সবচেয়ে প্রয়োজনীয় কাজগুলোর তালিকা করে একদম ওপরে রাখুন।
এবার পরপর প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী সাজিয়ে ফেলুন করণীয়গুলো। কাল করবেন বলে কোনো কাজই ফেলে রাখবেন না।
স্ক্রিন টাইম কমান
যতটা সম্ভব স্যোশাল মিডিয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। একান্তই প্রয়োজন ছাড়া তা ব্যবহার করবেন না। এতে যেমন কাজের ক্ষতি হয়, ঠিক তেমনই মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
সবাইকে বন্ধু ভাববেন না
চলার পথে অনেক মানুষের সঙ্গেই সবার কমবেশি পরিচয় ঘটে। তবে এ কথা মাথায় রাখতে হবে যে সবাই বন্ধু নয়। কাজেই বন্ধুত্ব করার আগে একাধিকবার ভাবুন। তারপরেই পদক্ষেপ নিন।
ব্যক্তিগত পরিসর বজায় রাখুন
সব কথা সব জায়গায় না বলাই ভালো। এতে পরবর্তী সময়ে আপনেই বিপদে পড়বেন। প্রতিটি মানুষের কিছু ব্যক্তিগত পরিসর থাকে। আপনিও সেদিকে খেয়াল রাখুন।
পার্সোনাল ও প্রফেশনাল জীবন আলাদা রাখুন
এই দুয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা খুবই জরুরি। খেয়াল রাখবেন একটির জন্য ওপরটি যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। দুটোই একে অন্যের সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকলেও কিছু দিক মাথায় রাখা অবশ্যই দরকার।
অতিরিক্ত খরচে লাগাম টানুন
আয় ব্যায়ের ভারসাম্য রাখা অত্যন্ত দরকার। এ বছর অপ্রয়োজনীয় খরচগুলো বাদ দিন। কোথাও ইনভেস্টমেন্টের কথা ভাবুন।
টাকার এক অংশ বিনোদনের জন্য সরিয়ে রাখুন। মাথায় রাখুন এর বেশি খরচ আপনি করবেন না। তাহলেই দেখবেন আয় ও ব্যয়ের মধ্যে সমতা বজায় থাকছে।
নিজেকে সময় দিন
প্রতি সপ্তাহে একটা নতুন বই পড়ার চেষ্টা করুন। প্রতিদিনের রুটিনের বাইরে গিয়ে নতুন কিছু করুন। যেমন- কিছু আঁকতে পারেন, গানের শখ থাকলে রেওয়াজ করুন অবসরে। ব্যায়াম করুন। সকালে উঠে ধ্যান করুন।
অনেকের অন্যের সঙ্গে নিজের তুলনা করে হীনমন্যতায় ভুগতে থাকেন। এই ভুলটা করবেন না। কারণ প্রতিটি মানুষের নিজস্ব কিছু বিশেষত্ব থাকে। প্রত্যেকের চলার পথ আলাদা। তাই অন্যের সঙ্গে নিজের তুলনা করে মানসিকভাবে বিব্রত হবে না।