গাজীপুর প্রতিনিধি : টঙ্গীর এরশাদ নগরে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও যুবদলের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এসময় গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত থেমে কয়েক দফায় এই সংঘর্ষ হয়। গুরুতর আহত হৃদয় (২৯) এরশাদনগর ১নং ব্লক আব্দুল হানিফের ছেলে। আটক মহিন (৩৮) বিএনপির কর্মী।
পুলিশ জানায়, টঙ্গীর এরশাদনগর ১নং ব্লক টেকবাড়ি এলাকায় অ্যাপার্টমেন্টে মাটি ফেলানোকে কেন্দ্র করে টিভি আনোয়ার গ্রুপ ও কামরুল ইসলাম কামু গ্রুপের মধ্যে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এরশাদ নগরের জনৈক ময়েজ উদ্দিনের বাসায় বিএনপির লোকজন হামলা করে বলে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি অভিযোগ হয়।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম কামু জানান, টিভি আনোয়ার, ময়েজউদ্দিন, মঞ্জু ও মোক্তাদির রহমান লিপুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী সন্ধ্যার দিকে আমার বাড়িঘরে হামলা করে ভাঙচুর চালায়। এ সময় তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও গুলিবর্ষণ করে।
এ বিষয়ে যুবদল নেতা মোক্তাদির রহমান লিপু জানান, কামুর লোকজন মঞ্জুর বাড়িঘরে হামলা করে ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে টঙ্গী পূর্ব থানায় ৬টি অভিযোগ ও একটি মামলা হয়েছে। আমরা কারো বাড়িঘরে হামলা করিনি।
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কায়সার আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত। এই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কিছু পাইনি তবে মানুষ একাধিক শব্দ শুনেছে বলে জানান তিনি।