মোঃ রহমত আলী
চোর চোর চোর
ধর ধর ধর
মসজিদের জুতা চোর,
ধরেছে আবার আরেক চোর।
সে ও গোপন নামাজ চোর,
চোর মারছে চোরা কে চড়,
চোরের ধর্ম চুরির গোপন কর্ম।
চোরে চোরে সব চার ভাই,
চুরি করেছে মা বাবার কামাই।
চোরের বুদ্ধি শেষ হারিয়ে গেলো,
দশ দিনের চুরি যেদিন ধরা খেলো,
সেই গল্প গর্বে চোরা নিজেই বলে।
চোর চোর চোর
ধর ধর ধর
আমার গোয়ালের গরু,
করেছে এই বেটা চুরি,
বহুদিন পর তুই আজ চোর ধরা খেলি।
বসেছে বিচার গ্রাম্য সালিশ,
চাল গম কম্বল চোর মেম্বার,
ইনারাই হলেন বিচারক মহৎ গণ।
সাক্ষ্য প্রমাণের পরে,চোর কহে,
আরেক চোরকে,এটা বলিস,ওটা বলিস,
তবে-রে, ও ঐ-টা কিন্তু না বলিস !
আজি তবে শেষ চোরা বিদ্যা বুঝিস।
চোর চোর চোর
ধর ধর ধর
এই চোর ধরা বড়ই দুষ্কর !
নামিদামি হয়ে আছে,লিখে কারো লেখা
চুরি করে,চোরা কোন সে কবি লেখক।
ধরেছে পাঠক পাঠের আসরে শুনে’ই,
তবে বিচারক সেই তো লেখক,
কবিতা চোরা এই যে সে নিজেই !
চোরা বলো করে কার মঙ্গল,
না নিজের ? নাকি গৃহস্থের লুটে সম্বল।
চোর তো বহুত ভিন্ন ভিন্ন প্রকারভেদে,
ছোট বড় আর কিছু খুবই জঘন্য।
চোর চোর চোর
ধর ধর ধর
আছে কতজন বাজারের চোর ব্যবসায়ী,
সুযোগের হুজুগে বেশি দামে বেচে সওদা।
বহুরূপী চোর বহু-বহু জন,
বাড়ায়নী দাম কোম্পানি,তবু বাড়তি দরে
বিক্রি করছে জনে-জনে অসাধু কর্মচারী।
কেউ অভাবের চোর,কেউ স্বভাবের চোর,
চোরের সাজা হতো যদি ঠিক,
মহাগ্রন্থ আসমানী কিতাব অনুযায়ী।
তবে অবশ্যই মূলে-নির্মূল হতো এই ব্যাধি,
তো সুন্দর হতো সমাজে জীবন জিন্দেগি।
ধর ধর ধর
চোর চোর চোর