গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরের ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে পাঁচ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় মহানগরীর কোনাবাড়ির জরুন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, জরুন এলাকার এসট্রো নিটওয়্যার লিমিটেড পোশাক কারখানায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন যাবৎ ঝুট ব্যবসা করে আসছেন। সম্প্রতি বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ঝুট ব্যবসা তাদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এসট্রো নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানার ঝুট ব্যবসা গাজীপুর মহানগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি সালাউদ্দিন ও একই ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি বিপ্লব খান নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
মঙ্গলবার সকালে বিএনপির ওই দুই নেতার লোকজন তাদের নেতৃত্বে কারখানা থেকে ঝুট বের করতে যায়। এ সময়ে একই ওয়ার্ডের বিএনপির সাবেক নেতা জহিরুল ইসলাম ও বাবুল হোসেনের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন তাদের বাধা দেয়। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে উভয়পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সালাউদ্দিন ও বিপ্লব খাননের সহযোগী ১৫-২০ জন সমর্থক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জহিরুল ইসলাম ও বাবুল হোসেনের সমর্থকদের ওপর হামলা চালালে আলম খন্দকার, বাদল খন্দকার, শামীম খন্দকার, জহিরুল খন্দকার ও বাবুল হোসেন মারাত্মক জখম হন। ঘটনার সময় দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমি ঝুট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নই। আমাকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করার জন্য একটি পক্ষ আমাকে জড়িয়ে অপবাদ দিচ্ছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’
এসব বিষয়ে জানতে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত সরকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঝুট ব্যবসা নিয়ে সংঘর্ষের বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে শুনেছি দুই পক্ষের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।’