তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ডিএফপি’র মিডিয়া তালিকাভুক্ত ঢাকা জেলার একমাত্র স্থানীয় পত্রিকা

ধামরাইয়ে ১১দফা দাবিতে প্রতিক সিরামিকসের শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

- Advertisement -

ধামরাই প্রতিনিধি : ধামরাইয়ে প্রতিক সিরামিক এ শ্রমিকরা ১১দফা দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। দীর্ঘদিন বেতন ভাতার বৈষম্য, শ্রমিক অফিসারদের মাঝে সম্পর্কের বৈষম্য এবং শ্রমিকদের মারধরের ঘটনায় শ্রমিক আন্দোলন করছেন শ্রমিকরা।

আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা তিনটারদিকে ধামরাই উপজেলার সোমবাগ ইউনিয়নের ডাউটিয়া এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এই সময় সেনাবাহিনীর একটি টিম তাদেরকে শান্ত করে কারখানার ভিতরে পাঠিয়ে দেয়। কারখানার ভিতরে গিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে শ্রমিকরা। এই সময় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় দশ কিলোমিটার যানজট লেগে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীবাহি লোকজন।

জানা যায়, বেতন ভাতার বৈষম্য নিয়ে শ্রমিকরা ১১দফা দাবি পেশ করে বিক্ষোভ করেন। এজি এম আকরাম এর পদত্যাগ দাবি করে শ্রমিকরা বলেন, আকরাম শ্রমিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং কথায় কথায় চাকরি থেকে বের করে দেওয়ার ভয় দেখান। মাঝে মধ্যে শ্রমিকদের মারধর করেন। কোন শ্রমিকের স্বামী অথবা কারও বাপ-মা মারা গেলেও ছুটি দেন না আকরাম।

শ্রমিকরা আরও বলেন, ৭কর্ম দিবসের মধ্যে শ্রমিকদের ভোটের মাধ্যমে শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন করার দাবি জানান। আন্দোলনের সাথে জড়িত কোন শ্রমিককে হয়রানি ও চাকরিচ্যুত করা যাবে না। ৬০০০ হাজার টাকা বেতন থেকে ১২ হাজার ৫০০ টাকা দাবি করেন। নতুন অস্থায়ী শ্রমিকদের ৬মাসের মাথায় স্থায়ী করার দাবি জানান।

প্রত্যেক সেকশনে হিট এলাউন্স দিতে হবে। শ্রমিকদের ১০ টাকার পরিবর্ততে ৫০টাকা হিট অ্যালাউন্স দিতে হবে। নাইট অ্যালাউন্স ২০টাকার পরিবর্তে ১০০টাকা করতে হবে। ৭কর্মদিবসের মধ্যে বেতন পরিশোধ করতে হবে,প্রতিবছর ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে।শ্রমিকদের নিরাপদে যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে।

এই বিষয়ে শ্রমিরা বলেন, কারখানার ভিতরে আমরা কোন কথা বলতে পারি না। যদি কেউ কথা বলে আকরাম তাদের রোমের ভিতরে নিয়ে মারধর করেন। এছাড়া মহিলা শ্রমিকদের বিভিন্ন ধরণের গালি গালাছ করেন। যদি কোন শ্রমিক দেরিতে অফিসে আসে তাহলে তাকে মারধর এবং হাজিরা বোনাস কেটে নেয়।

শ্রমিকদের আন্দোলন চলমান থাকা আত্মগোপনে চলে যায় এজি এম আকরামসহ কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা কিংবা মালিকপক্ষের কিছু লোকজন। তবে কারখানার শ্রমিকদের নিরাপত্তা দিতে কারখানার সামনে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।

- Advertisement -

এ বিভাগের আরও সংবাদ