বৈষম্যহীন রাষ্ট্রের দাবিতে
মাথায় ও হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে
বুলেটের সামনে দাঁড়ানো
প্রাণ উৎসর্গকারী বীর-মহাবীর
সময়ের সূর্যস্নাত সন্তান।
একজন নিরস্ত্র নাগরিক
দু’হাত প্রসারিত ক’রে মাটিতে দণ্ডায়মান
অথচ তাঁকে রাষ্ট্র ক্ষমা করেনি।
যেখানেই গুলি করেছে
সেখানেই জাতীয় পতাকা।
বিবেক সুরক্ষা দিতে
উচ্চকিত হাতে পতাকা নিয়ে
সূর্যের আলোতে গেঁথে দিয়েছিলে,
শাসকরা বুঝলো—
অঘোষিত মৃত্যুদণ্ড ছাড়া
আর প্রতিরোধ করা যাবে না।
এক আবু সাঈদ
অন্যায়ের বিরুদ্ধে, ন্যায্যতার পক্ষে
লড়াই ছড়িয়ে দেবে আকাশে-বাতাসে,
লড়াই তুলে দেবে ছাত্রদের হাতে-হাতে
পতাকা উড়িয়ে দেবে স্কুলে-স্কুলে,
উঠোনে-উঠোনে, গাছের পাতায়-পাতায়।
যারা ভোট খেয়ে ফেলে
খেয়ে ফেলে রাষ্ট্রীয় সম্পদ
মুক্তিযুদ্ধ আত্মসাৎ ক’রে ফেলে
ব্যক্তিগত করে ফেলে রাষ্ট্রকে,
তারা আবু সাঈদকে বাঁচতে দিলো না।
মুক্তিযুদ্ধের ৫৩ বছর পর
আবার মুক্তিযুদ্ধ,
আবার রক্ত ঝরানো-লড়াই!
আবার সন্তানের লাশ প’ড়ে আছে
আবার মস্তক ছিন্ন
আবার দেহ খন্ড-বিখন্ড
আবার রাজপথ রক্তরঞ্জিত
আবার মায়ের আহাজারি
আবার জন্ম নেবে আবু সাঈদ
আবার জন্ম নেবে প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা,
যারা রাজপথে দাঁড়িয়ে
মৃত্যুকে পরাজিত করবে,
বীরের রক্তে রক্তাক্ত পতাকা
আবার উড়বে বৈষম্যহীন বাংলায়।
হে বীর,
জেনে রেখো—বীরের মৃত্যু নেই
আবার জন্ম নেবে তুমি বাংলার ঘরে ঘরে
আবার পতাকা নিয়ে
মিছিলে যাবে অনন্তকাল ।