তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ডিএফপি’র মিডিয়া তালিকাভুক্ত ঢাকা জেলার একমাত্র স্থানীয় পত্রিকা

ধামরাইয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় একজনকে আটকের পর থানায় নিয়ে সালিশ

- Advertisement -

ধামরাই প্রতিনিধি : ধামরাইয়ে ভজন সরকার নামে এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগের ঘটনায় কমল সরকারকে আটক করে ধামরাই থানা পুলিশের এসআই ফয়েজ উদ্দিন। প্রায় ১০ ঘন্টা থানায় আটক থাকার পর এসআই ফয়েজ উদ্দিনের মধ্যস্থতায় থানার একটি কক্ষে সালিশে জরিমানার নামে কমল সরকারের কাছ থেকে ৯০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এসআই ফয়েজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। তবে টাকা নেওয়ার বিষয়টি প্রথমে ফয়েজ উদ্দিন অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে তা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, বাদিকে ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। আর ৩০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে তিনি স্বীকার করেন। ঘটনাটি গতকাল সোমবার জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ধামরাইয়ের বাইশাকান্দা ইউনিয়নের পটল গ্রামের ভজন সরকার ও তার ভাতিজা কমল সরকারের মধ্যে ত্চ্ছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার বাগবিতন্ডা হয়। একপর‌্যায় ভজন সরকারের মাথা ফাটিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় তিনি ধামরাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসআই ফয়েজ উদ্দিন শুক্রবার বিকেলে কমল সরকারকে বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এরপর গভীর রাতে থানার একটি কক্ষে উভয়পক্ষ নিয়ে সালিশ বৈঠক করে এসআই ফয়েজ। সালিশে কমল সরকারকে জরিমানা করা হয় ৯০ হাজার টাকা। ওই সময় কমলের স্বজনরা ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। পরিশোধিত টাকা থেকে ভজন সরকারকে দেওয়া হয় ২০ হাজার টাকা। পুলিশের খরচ হিসেবে ৪০ হাজার টাকা এসআই ফয়েজ উদ্দিন রেখে দেন।

কমল সরকার বলেন, ৯০ হাজার টাকার মধ্যে শুক্রবার রাতে ৬০ হাজার টাকা দেওয়ার পর এসআই ফয়েজ স্যার আমাকে ছেড়ে দিয়েছে। বাকি ৩০ হাজার টাকাও আমার স্বজনের মাধ্যমে রোববার রাতে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, কবে কি হয়েছে আমি জানিনা। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।

উল্লেখ্য, হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন শুনানিতে ২০১৯ সালের ২ এপ্রিল বিচারপ্রতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ থেকে থানায় ‘বিচার-সালিশে’র বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

- Advertisement -

এ বিভাগের আরও সংবাদ