স্টাফ রিপোর্টার : স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে কুষ্ঠরোগ নির্মূলে সরকারের লক্ষ্য পূরণে স্বাস্থ্য বিভাগর অঙ্গীকারবদ্ধ। যক্ষ্মা নির্মূলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। ১৯৯১ সালে প্রতি এক লাখ জনসংখ্যার মধ্যে কুষ্ঠ বিস্তারের হার ছিল ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ, যা সরকারের চেষ্টার ফলে বর্তমানে ০ দশমিক ১৮ তে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ কুষ্ঠরোগ নির্মূলে বাংলাদেশ সরকার বড় ধরনের সফলতা অর্জন করেছে।
নির্ধারিত সময়ে কুষ্ঠরোগ নিমূলে সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কুষ্ঠরোগ নির্মূলে বিশদ কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এজন্য দ্রুতই কুষ্ঠ শনাক্ত, যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিতকরণ, কুষ্ঠ রোগীদের পুর্নবাসন, স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিসহ নানামুখী প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে। স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর প্রোগ্রামের আওতায় এজন্য কুষ্ঠ নির্মূলকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও বিশ্বস্বাস্থ্য) ড. মো. জিয়াউদ্দীন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. মাহফুজুর রহমান সরকারসহ নিপ্পন ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।